বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৬:২২ পূর্বাহ্ন
মিনিয়াপলিসে একজন কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির মৃত্যুর পরে দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার কারণ হিসেবে একটি টুইট করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রবিবারের সেই টুইটে ডোনাল্ড ট্রাম্প ফ্যাসিবাদ বিরোধী গোষ্ঠী ‘অ্যান্টিফা’কে দেশব্যাপী এই নৈরাজ্যের উস্কানিদাতা হিসেবে উল্লেখ্য করে একে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা করার পদক্ষেপ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বারসহ ট্রাম্প প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা মার্কিন শহরগুলোতে বিক্ষোভে অংশ নেয়ার জন্য ‘অ্যান্টিফা’ এবং অন্যান্য ‘আন্দোলনকারী’দের দোষরোপ করেছেন।
রাষ্ট্রপতির এই টুইটের পরে ঐদিনই এক বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘দাঙ্গার সাথে সম্পর্কিত এন্টিফা এবং অন্যান্য অনুরূপ গোষ্ঠী দ্বারা সহিংসতা উস্কে দেয়া এবং সন্ত্রাসী কাজ চালানোর জন্য এদের বিরুদ্ধে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
তবে, সংবাদ মাধ্যম রয়টার্স বলছে, এটি স্পষ্ট নয় যে দেশজুড়ে বিক্ষোভে অংশ নেয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে কতজন আন্টিফা থেকে এসেছিলেন। আর সে দেশের বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এটি কোনো সংস্থা নয় বরং একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক আন্দোলন।
মিনেসোটার জননিরাপত্তা বিভাগের প্রধান জন হ্যারিংটন রবিবার একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের প্রায় ২০ শতাংশ বহিরাগত ছিল। যদিও শনিবার রাতের এ গ্রেপ্তারের সংখ্যা জানা যায়নি।
অ্যান্টিফাকে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠী হিসেবে বর্ণনা করাটা ট্রাম্পের এই প্রথম নয়। এবার তার সাথে সুর মেলালেন টেক্সাসের সিনেটর টেড ক্রুজের মতো অন্যান্য রক্ষণশীল রাজনীতিবিদরাও। তারাও একই জাতীয় বক্তব্য দিয়েছেন।
ট্রাম্প প্রশাসন আনুষ্ঠানিক এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে কিনা তা স্পষ্ট নয়। কারণ এজন্য সাধারণত একাধিক ফেডারেল এজেন্সিগুলোর মধ্যে সমন্বয়ের প্রয়োজন হবে। অবশ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ট্রাম্পের এটা করার আইনী ক্ষমতা নেই।
বিচার বিভাগের প্রাক্তন সিনিয়র কর্মকর্তা মেরি ম্যাককার্ড বলেছেন, ‘দেশিয় সংস্থাকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে মনোনীত করার জন্য বর্তমানে কোনো আইনি কর্তৃত্ব নেই।’
Leave a Reply