বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৭:২৯ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালী প্রতিনিধি :নোয়াখালীর ১১নং নেয়াজপুর ইউনিয়নের মুছাপুর গ্রামের কোরআন হাফেজের সম্পত্তি জবর-দখল চেষ্টা ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী জমির মালিক ও তাদের পরিবার।
বৃহঃবার দুপুর ২টায় নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে সংবাদ সম্মেলনে জমির মালিক হাফেজ আব্দুল ওয়াহেদ লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার ক্রয়কৃত জমি, ওয়ারিশনে জমি, পুকুর, গাছ ও বাড়ি, জবর-দখল এবং বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রাণনাশে হুমকি দিচ্ছে তারই আপন ভাই মরহুম হাফেজ আব্দুল ওয়াছে’র ছেলে মোঃ জসিম উদ্দিন।
বিএন পি সরকারের সময় সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী মুজাহিদ এর মাধ্যমে সমাজ সেবা অফিসে চাকুরি নেয়। তখন থেকে তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সময় মসজিদ, মাদ্রাসায় ওয়াজের নামে চাঁদাবাজি করে আসছে। এবং সুধারাম থানায় জালাওপোড়াও মামলা, সরকারী এলজিইডি’র চাঁদাবাজির মামলা, একই এলাকার মাষ্টার আব্দুল মাবুদের বসত ঘর পোড়ানো মামলা, ফরহাদ উদ্দিন ঘর নির্মাণে চাঁদাবাজি মামলা, গাছকাটা মামলা সহ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
জসিম এবং তার বাহিনী কর্তৃক মামলা হামলা দখল অবশেষে সুধারাম থানার নির্দেশ অমান্য করে গত ২০ রমজান মধ্য রাত থেকে ৪০/৫০ জন অস্ত্রধারী বিভিন্ন তান্ডবের মাধ্যমে হাফেজ আব্দুল ওয়াহেদের ৪০ বছরের পুরাতন বসত ঘরের দেয়াল ভেঙ্গে তিনতলা ফাউন্ডেশন নিয়ে বিল্ডিং নির্মাণ শুরু করে।
হাফেজ আব্দুল ওয়াহেদকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায় তিনি জেলা শহর মাইজদীতে ভাড়া বাসায় অবস্থান করছেন। জসিম সম্পর্কে তিনি আরো বলেন, তার বিরোধে অনেক গুলো অভিযোগ থাকার পরও সে এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বার থানা পুলিশ কাউকে মানছেননা। তার বিরুদ্ধে ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করলেও সে সেখানে হাজির না হওয়ায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০১৭ তারিখে চেয়ারম্যান হাফেজ আব্দুল ওয়াহেদকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া এর বিরুদ্ধে অনেক গুলো মামলা চলমান আছে।
জসিম তার স্ত্রী কামরুন্নাহারকে দিকে হাফেজ আব্দুল ওয়াহেদের একমাত্র ছেলে আব্দুল মাজেদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে এক মামলা দায়ের করেন, যার নাম্বার ৭৯৮/২০১৭। কিন্তু উক্ত মামলা রুজুর তারিখে আব্দুল মাজেদ সিলেট যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ্ দ্বিতীয় আদালত, মামলা নম্বর ৪৫২/২০১৫ হাজির ছিলেন।
ঐ মামলার কাগজপত্র বিচার বিশ্লেষণ করে নোয়াখালী বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আব্দুল মাজদকে প্রথম তারিখেই জামিন মঞ্জুর করেন।বর্তমানে জসিম উদ্দিন বিভিন্ন ভাবে মানুষকে হয়রানি করে অর্থ আর্ত্মসাতের মাধ্যমে একটি বাহিনী সৃষ্টি করে বেড়াচ্ছেন। সমাজসেবা অফিসের পিয়ন পদে চাকুরি করেও অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে দালান নির্মাণের উৎস কোথায়।
Leave a Reply