শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৮:০৪ অপরাহ্ন
প্রতিবেদক: গাইনী সমস্যা নিয়ে যাওয়ার পর পরামর্শ দেওয়া হলো ডি এন সি অপারেশন করার। এতে চুক্তি হলো ৫হাজার টাকা। কিন্তু অপারেশন করার পর চুক্তি অনুযায়ী টাকা দিতে না পারায় গৃহবধুর কানের দূল রেখে দিলেন দিলশাদ আক্তার নাছরিন নামে এক পরিবার কল্যান সহকারী। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী গৃহবধু পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার বরাবরে লিখিত ভাবে একটি অভিযোগ দিয়েছে। ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালী দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চরকিং ইউনিয়নে ৯নং ওয়ার্ডে।
লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে জানাযায়, গত ৩০ মে শারীরীক সমস্যা দেখা দিলে হাতিয়া চরকিং ইউনিয়নের হামিদুল্যাহ গ্রামের রেখা নামে এক গৃহবধু চিকিৎসা নিতে যান একই ইউনিয়নের পরিবার কল্যান সহকারী দিলশাদ আক্তার নাছরিনের বাড়ীতে। নাছরিন গৃহবধুকে দেখে তার ডি এন সি করার সিদ্বান্ত নেন। এতে ৫হাজার টাকা চুক্তিতে অপারেশন করে সে। কিন্তু কাজ শেষে গৃহবধু টাকা দিতে না পারায় তার কানের দূল রেখে দেন নাছরিন। পরে গৃহবধু ৫হাজার টাকা নিয়ে তার বাড়ীতে গেলে সে এবার ১০হাজার টাকা দাবী করে।
এ ব্যাপারে গৃহবধু রেখা হাতিয়া উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত ভাবে ৩১শে মে অভিযোগ দেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো: মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি আবেদনটি পেয়েছি। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে একজন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কখনো এ ধরনের অপারেশন করতে পারেনা।
এদিকে রেখা আবেদন করার পরপরই এলাকা থেকে একাধিক ব্যাক্তি মোবাইলে ও সরাসরি এসে এ প্রতিবেদককে দিলশাদ আক্তার নাছরিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে থাকেন। প্রত্যেকের অভিযোগ একজন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী কিভাবে ডি এন সি সহ এজাতীয় অপারেশন করে। তার একাডেমি যোগ্যতা ও জোরপূর্বক মানুষের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের বিষয়ে প্রশ্ন করেন সবাই।
সারা দেশের চিকিৎসকরা যেখানে করোনা মহামারি মোকাবিলায় অনেকটা নাজেহাল, সেখানে গ্রামের একজন পরিবার পরিকল্পনা সহকারী এধরনের কর্মকান্ডে সাধারন মানুষ অনেকটা হতভম্ব।এ ব্যাপারে দিলশাদ আক্তার নাছরিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আমার সাথে রেখা আক্তারের কিছু বুল বুঝাবুঝি হয়েছে। যা পরে সমাধান করা হয়েছে। এর বাহিরে তিনি কিছুই বলতে রাজি হননি।
Leave a Reply