বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:০৬ পূর্বাহ্ন
সালাহ উদ্দিন সুমন,নোয়াখালী:দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে নোয়াখালীতে। এজন্য নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশে ও জনসাধারণের অনুরোধে জেলা করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস পুনরায় জেলাকে লগডাউন ঘোষণা করেন।
করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নোয়াখালীর সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলাকে দ্বিতীয় দফা মঙ্গলবার ভোর ছয়টা থেকে ১৫ দিনের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
রবিবার বিকেলে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধের লক্ষ্যে গঠিত জেলা কমিটির সভায় লক ডাউনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
জেলা প্রশাসক তম্ময় দাসের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালীর সদর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী,বেগমগঞ্জ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরন, জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, জেলা সিভিল সার্জন মমিনুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সামছুদ্দিন জেহান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফুল ইসলাম সরদার, নোয়াখালী পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু উপস্থিত ছিলেন।
এসময় নোয়াখালী জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, দেশের এ ক্রান্তিকালে সকলের প্রতি আমি অনুরোধ করবো আমরা সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবো। আর বেসরকারী হাসপাতালগুলোর কর্তৃপক্ষরা যেন সকল করোনা আক্রান্ত রোগীকে স্বাভাবিক ভাবে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। যদি কেউ তাতে অনিহা প্রকাশ করে তাহলে তাদের প্রতি কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই ঘোষণার পর জেলার ২ উপজেলার অভ্যন্তরে জনসাধারণের আগমন ও বর্হিগমনে নিষেধাজ্ঞা আরো কঠোর করা হয়েছে। একই সাথে এক উপজেলা থেকে অন্য উপজেলায়, এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে এবং এক ওয়ার্ড থেকে অন্য ওয়ার্ডে জনসাধারণের যাতায়াত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কেউ আদেশ আমান্য করলে শাস্তির বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। লকডাউন মেনে চলার বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগণ মাঠে কাজ করছেন।
উল্লেখ্য,নোয়াখালীর সদর এবং বেগমগঞ্জ উপজেলায় করোনার সংক্রমন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। সদর উপজেলায় ২৩৬ এবং বেগমগঞ্জ উপজেলায় ৪৫৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
Leave a Reply