স্টাফ রিপোর্টার:নোয়খালীতে লকডাউনে রোগীবাহী অ্যাম্বুলেন্স ভাংচুর ও চালককে মারধরের প্রতিবাদে ডিসি অফিস ঘেরাও করে চালকদের অবস্থান ধর্মঘট ও আলটিমেটাম কর্মসূচি পালিত হয়েছে। নোয়াখালীতে সদর ও বেগমগঞ্জ উপজেলায় দ্বিতীয় দিনের মতো লকডাউন চলছে। এদিকে সকালে জেলা সদরে স্বেচ্ছাসেবক নামধারী কিছু অতিউৎসাহী তরুণের বিরুদ্ধে রোগীবাহি একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ও চালককে মারধরের অভিযোগ ওঠেছে। জেলা অ্যাম্বুলেন্সে চালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম জানান, সকাল ১০টার দিকে নোয়াখালী ডায়াবেটিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এক রোগীকে ছাড়পত্র দেওয়ার পর লক্ষীপুরের রামগতি নিয়ে যাওয়ার সময় জেলা সদরের কাঞ্চন মেম্বারের পুল এলাকায় ৮-১০ জন তরুণ লাঠিসোটা নিয়ে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলা ভাংচুর চালায়।

এ সময় তারা অ্যাম্বুলেন্সের চালক মো: সুমন ও অ্যাম্বুলেন্সে থাকা রোগীর স্বজনদেরকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এ ঘটনার প্রতিবাদে অ্যাম্বুলেন্স চালকরা সকাল ১১টা থেকে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) কার্যালয়ের সামনে ২ ঘন্টা অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তারা ফিরে যান। তবে, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার না পাওয়া পর্যন্ত চালক সমিতি অ্যাম্বুলেন্স বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস জানান, সকাল থেকে দুই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও র্যার সদস্যরা টহল দিচ্ছে। বিভিন্ন সড়কে তল্লাশি চৌকি বসিয়ে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সুধারাম মডেল থানার ওসি নবীর হোসেন জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অ্যাম্বুলেন্স মেরামত করে দিয়ে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। একই সাথে বিভিন্ন সড়কে লকডাউন কার্যকরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর বাইরে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে যারা নিজ দায়িত্বে নিয়োজিত ছিল তাদেরকে সড়ক থেকে তুলে নেয়া হয়েছে। অপর দিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার কমাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ ও সদর উপজেলায় মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে। লকডাউনে রাস্তায় মোড়ে মোড়ে দিনভর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেয়ে কথিত স্বেচ্ছাসেবকদের উপস্থিতি ছিল বেশি।