বুধবার, ২৯ জুন ২০২২, ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক:ভাঙন ঠেকাতে এখন থেকে বেড়িবাঁধগুলো উঁচু করার পাশাপাশি গাছও লাগানো হবে। একইসঙ্গে ডুবোচরগুলো ড্রেজিং করা হবে। যাতে বাঁধগুলো টেকসই হয় এবং পানির ফ্লো অব্যাহত থাকে। এজন্য বড় ধরনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার সচিবালয়ে কালের কণ্ঠকে এসব কথা বলেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও সাংসদ এ কে এম এনামুল হক শামীম।
তিনি জানান, সারা দেশে ১৭ হাজার ৭০০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ আছে। এর মধ্যে ৭ হাজার বেড়িবাঁধ উপকূলীয় এলাকায়। এগুলো ৪০/৫০ বছর আগের হওয়ায় ভেঙে গেছে এবং বসে গেছে। এসব বাঁধ পুনঃসংস্কার এবং পুনর্নির্মাণ করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ১০৯টি ফোল্ডার আছে। আগামী বর্ষা মৌসুমে এবং নদীভাঙন সামনে রেখে ১৯ স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ চলছে। বিশেষ করে শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ১৭ পয়েন্টে ৪ হাজার শ্রমিক প্রতিনিয়ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করছেন। সেখানে মন্ত্রণালয় থেকে ভিজিট অব্যাহত আছে।
সারা দেশে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো নিয়মিত তদারকির কথা জানিয়ে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী শামীম জানান, প্রতি সপ্তাহে তিনদিন (রবি, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার) সচিবালয়ে অফিস করছেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নদীভাঙন রোধে মন্ত্রণালয় থেকে মন্ত্রণালয় থেকে আরো বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, লক্ষীপুরসহ বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকার বাঁধগুলো সংস্কার কাজ চলছে। এবার প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, গত ২০ মে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে উপকূলাঞ্চল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শুধুমাত্র খুলনার দাকোপ উপজেলায় প্রায় ১২ কি.মি. বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত ২২মে উপকূলীয় এলাকার ক্ষয়ক্ষতি হেলিকপ্টারযোগে পরিদর্শন করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। আম্ফান আঘাতের পূর্বে উপমন্ত্রী শামীম সাধারণ ছুটির মধ্যেও ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাঁধ নির্মাণ কাজ অব্যাহত রাখার নির্দেশনা দেন। এছাড়া গত ২৮ ও ২৭ মে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া, সাতক্ষীরার শ্যামনগর, আশাশুনি উপজেলার এবং খুলনার কয়রা উপজেলার আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন।
Leave a Reply