বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন
দীর্ঘ প্রায় তিন দশকের অচলায়তন ভেঙে গত বছরের ১১ মার্চ অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন। নির্বাচিত প্রতিনিধিরা দায়িত্ব গ্রহণ করেন ২৩ মার্চ। দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ অনুযায়ী এই বছরের ২২ মার্চ এই কমিটির এক বছর পূর্ণ হয়। তবে মেয়াদ শেষ হবার পরও নির্বাচনের তারিখ না ঘোষণা করায় ডাকসুর গঠনতন্ত্র ৬ (গ) অনুযায়ী স্বয়ংক্রিয়ভাবে আরো ৯০ দিন বৃদ্ধি পায়। এই সময় পার হয়ে গেলে কমিটি গত সোমবার আপনা আপনি ভেঙে যায়। সদ্য বিলুপ্ত এই কমিটির ভিপি এবং জিএস মেয়াদ বাড়ানোর পক্ষে ছিলেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান জানিয়েছেন, এ বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদাধিকারবলে ডাকসুর সভাপতি এবং ডাকসুর কার্যনির্বাহী কমিটি ও অন্য উপকমিটি আয়োজিত সকল অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। ডাকসুর গঠনতন্ত্রে ৫(ক) অনুচ্ছেদে সভাপতি বা উপাচার্যের ক্ষমতা সম্পর্কে বলা আছে। এতে বলা হয়েছে, সভাপতি যেকোনো সময়ে ইউনিয়নের স্বার্থে যেকোনো পদধারীকে বা নির্বাহী কমিটির যেকোনো সদস্যকে করতে পারেন অথবা পুরো নির্বাহী কমিটি ভেঙে দিয়ে নতুন নির্বাচন আহ্বান করতে পারেন অথবা ইউনিয়ন চলমান রাখতে তিনি যেরূপ উপযুক্ত মনে করেন সেরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ১৯৯৮ সালে ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কী করা যায় তা খুব স্পষ্ট করে গঠনতন্ত্রে লেখা আছে। নির্বাচন কিংবা বর্ধিত মেয়াদের শেষ দিন, যেইটা আগে আসবে সেই পর্যন্ত কমিটির মেয়াদ থাকবে। এটি করা হয়েছিলো অতীত অভিজ্ঞতা থেকে। কেননা দেখা যেত, এ ধরণের কোনো আইন না থাকার কারণে ডাকসু নেতারা দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকতেন। এই পরিস্থিতির যাতে সৃষ্টি না হয় সেকারণে এই আইন করা হয়েছিলো।
এই কমিটির নেতৃবৃন্দের মেয়াদ বাড়ানো সম্ভব কি না- এ বিষয়ে জানতে চাইলে ড. মিজানুর রহমান বলেন, বিশেষ পরিস্থিতি যেখানে সৃষ্টা ব্যতীত আর কারও হাত নেই, এমন পরিস্থিতি উদ্ভব হয়, যার কারণে সবকিছু অচল হয়ে যায় (যেমন- করোনা) তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট চাইলে আলোচনা সাপেক্ষে মেয়াদ বাড়াতে পারে। অথবা এ বিষয় আদালতে ওঠালে আদালত যদি বলে, তাহলে মেয়াদ বাড়ানো যেতে পারে। এর বাইরে মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ গঠনতন্ত্রে নেই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, গঠনতন্ত্র অনুসারে সবকিছু হবে। এই বিষয়ে প্রশাসনের নতুন কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
Leave a Reply