বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:৪৮ অপরাহ্ন
প্রতিবেদক: দেশীয় খামারিদের উৎসাহ দিতে এবার পবিত্র ঈদুল আজহার আগে ভারত থেকে গরু আনা হবে না। এ লক্ষে সীমান্তে ‘বিট খাটালের’ মাধ্যমে গরু আনার অনুমতিও দেয়া হয়নি। সরকার কঠোরভাবে এই বিষয়টি নিশ্চিত করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (আনসার ও সীমান্ত) মো. সাহেদ আলী।
তিনি বলেন, এবার দেশীয় খামারিরা যাতে গবাদিপশুর ভালো দাম পান, তা নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরে হিসাবে, বিগত কয়েক বছরে পবিত্র ঈদুল আজহায় দেশে ১ কোটি ১০ লাখের মতো পশু কোরবানি দেয়া হয়। এর মধ্যে গরু-মহিষ থাকে ৪০ থেকে ৪৫ লাখ। সেটা দেশীয় খামারিদের গরু-মহিষ দিয়েই পূরণের আশা করছে সরকার। তাই ভারতীয় গরু আসা ঠেকানোর এমন ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গরু আসা কমে গেলে আমাদের দেশে গবাদিপশু পালন উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তবে করোনা পরিস্থিতিতে এ বছর পশু কোরবানির সংখ্যা কমার আশঙ্কা রয়েছে।
জানা গেছে, বিট খাটাল হলো একটি খোয়াড়ের মতো স্থান। যেখানে ভারত থেকে আনা গরু জড়ো করা হয়। এরপর শুল্ক কর্মকর্তারা মালিকানাবিহীন দেখিয়ে গরুগুলোকে বাজেয়াপ্ত ঘোষণা করেন।
এটি রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করার জন্য কাগজে কলমে সংপ্তি বিচার দেখানো হয়। এরপর ‘রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাজেয়াপ্ত’ গরু মাত্র ৫০০ টাকার বিনিময়ে গরু ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়া হয়। বৈধভাবে এটাই গরু আনার ব্যবস্থা। তবে ভারতের কাছে এ ব্যবস্থার কোনো স্বীকৃতি নেই।
Leave a Reply