শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১২:১৬ অপরাহ্ন

কুমিল্লার বাজারে ফল আছে, ক্রেতা নেই

প্রতিবেদক:কুমিল্লার বাজারে পর্যাপ্ত ফল মজুদ আছে। তবে বিক্রি নেই। অন্য যে কোন বছরের তুলনায় বিক্রি কমে অর্ধেকে নেমেছে। এ নিয়ে চিন্তিত জেলার ফল ব্যবসায়ীরা।

নগরীর কান্দিরপাড় ও রাজগঞ্জ বাজারের ঘুরে দেখা যায়, বাজারে আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, নাশপাতি, ডেউয়া, চাপালিশ,কলা,আনারসে ভরপুর বাজার। বাজারজুড়ে ফলের মৌ মৌ গন্ধে ছড়িয়ে আছে। তবে আকৃষ্ট হচ্ছে না ক্রেতারা।

সূত্র জানায়, বাজারে বর্তমানে রাজশাহীর আমের মজুদ বেড়েছে। বর্তমানে আমরুপালি ৭০ টাকা, হাড়িভাঙ্গা ৮০ টাকা, লেংড়া-৭৫-৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর কিছু দিন পরে বাজারে আসবে ফজলি আম। এখন মাল্টা-২৩০ টাকা, আপেল-১৪০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, এ বছর অন্যান্য ফলের চেয়ে কাঁঠাল কিছুটা ভালো দামে বিক্রি হয়েছে। এদিকে সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় এ বছরও ভারত থেকে প্রচুর আনারস  প্রবেশ করেছে কুমিল্লায়। এছাড়াও এসেছে চাপালিশ, কলা ও আম।

কান্দিরপাড়ের ফল ব্যবসায়ী ইদ্রিস জানান, মধুমাস জ্যৈষ্ঠ পার হলো। এখন আষাঢ় মাস চলছে। আমরা এখনো আমাদের টার্গেট অনুযায়ী ফল বিক্রি করতে পারিনি। অন্যান্য বছর প্রতিজন ফল ব্যবসায়ী বাজারে প্রতিদিন গড়ে ১০-১৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতাম। এ বছর করোনার কারণে অর্ধেকে নেমে এসেছে বিকিকিনি। এখন গড়ে ৪-৫ হাজার টাকার ফল বিক্রি করতে পারি।

রাজগঞ্জের ফল ব্যবসায়ী মহিউদ্দিন জানান, অন্য বছরের তুলনায় এ বছর ফলের উৎপাদন ভালো হয়েছে। বাজারে ফল এসেছে অনেক। প্রত্যেক ব্যবসায়ীর কাছে পর্যাপ্ত ফল মজুদ আছে। তবে ব্যবসায়ীরা এ বছর কাঙ্খিত পরিমাণ ফল বিক্রি করতে পারছেনা।

নগরীর ডিসি বাংলো সড়কের মাথায় ফল বিক্রি করেন সুমন। তিনি জানান,অন্য বছরগুলোতে দেশী ফলের মধ্যে জাম,ডেউয়া ও লটকনের চাহিদা ব্যাপক ছিলো। এ বছর এসব ফলের চাহিদা কমে গেছে।  এদিকে করোনার কারণে মানুষজন অনলাইনে ফলের অর্ডার করছে। রায়হান নামে এক যুবক জানান, এ বছর তিনি অনলাইনে  অন্তত ৩০ মন আম বিক্রি করেছেন।  মানুষ অনেক রেসপন্স করেছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  
© All rights reserved © 2017 nktelevision
Design & Developed BY Shera Web