মঙ্গলবার, ১৬ অগাস্ট ২০২২, ০৯:১৬ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালী প্রতিনিধি: মহুসী নারী শ্রীমতি ঝর্ণা ধারা চৌধুরীর প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে নোয়াখালী গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টে শনিবার সকাল ১১ টায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রয়াতের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ণ্য, প্রদীপ প্রজ্জলন, বিশেষ প্রার্থনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় গান্ধী আশ্রম ট্রাস্ট সচিব তরনি কুমার দাস এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন, রাহা নব কুমার, গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টের পরিচালক প্রশাসনিক কর্মকর্তা শংকর বিকাশ পাল, অসীম কুমার বকসী, পিস কডিনেটর। কামাল হোসেন মাসুদ, সংস্কৃতিকর্মী ও দৈনিক ভোরের দর্পনের জেলা প্রতিনিধি দিদারুল আলম প্রমূখ।
উল্লেখ্য, ১৯৪৬ সনে ভ্রাতৃঘাতি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার পরেই মহাত্মা গান্ধী নোয়াখালীতে আগমন করেন এবং সহকর্মীদের নিয়ে দাঙ্গাপীড়িত মানুষের মাঝে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেন। সে সময় গান্ধীকর্মীদের সমাজসেবামূলক কাজ দেখে শ্রীমতি ঝর্ণা ধারা চৌধুরী উদ্বুদ্ধ হন এবং এই শিশু বয়সেই নিজেকে সমাজসেবায় উৎসর্গ করার দৃঢ় সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
প্রথমেই তিনি লক্ষ্য করেন, অশিক্ষার কারণে সমাজের নারীরা চরমভাবে অবহেলিত ও নিগৃহের শিকার হয়। এই উপলব্ধি থেকেই ১৯৫৩ সালে নারীদের শিক্ষার জন্যে তাঁর বড় বোন কবিতা দত্ত সহ ‘‘কল্যাণী শিক্ষায়তন’’ নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করেন। কিন্তু নারী শিক্ষা বিরোধীতাকারীদের চক্রান্তের কারণে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়।
এরপর তিনি ১৯৬০ সালে চট্টগ্রামে অবস্থিত প্রবর্তক সংঘে যোগদান করেন। যেখানে শিক্ষিকা ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ন পদে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে তিনি প্রবর্তক সংঘের প্রায় ৫ শতাধিক কিশোরীকে নিরাপদে বহু প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে ত্রিপুরার রিলিফ ক্যাম্পে নিয়ে যান এবং সেখানে গিয়ে বাংলাদেশের পক্ষে জনমত গঠনে ভূমিকা রাখেন। প্রবর্তক সংঘে যোগদানের পরপরই তিনি সাধারন দেশী চরকা ও অম্বর চরকার উপর প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। এরপর প্রবর্তক সংঘে চরকা ও তাঁত শিল্প পুন:প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহন করেন। কিন্তু নানা প্রতিকূলতার জন্য তা বাস্তবায়িত হতে পারেনি ।
Leave a Reply