মঙ্গলবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১১:৫৯ অপরাহ্ন
প্রতিবেদক:পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুকের অভিযোগ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে স্ত্রী কর্তৃক দেবরের সাথে পরকীয়ার প্রতিবাদ করায় স্বামী আরিফ হোসেন এর বিরুদ্ধে যৌতুক আইনে অভিযোগ করেছে স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (২৫) এর সহোদর ইমরান হোসেন। উপজেলার ৪নং বারগাঁও ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের চৌধুরী হাজী বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে।
শনিবার সালিশ বৈঠকে স্ত্রী আরিফের সংসার না করে নিজ দেবর অসম প্রেমিক আরমান হোসেন (১৭) এর সাথে সংসার করার বিষয়ে সালিশদের জানিয়ে দেয়। মর্জিনার এমন বক্তব্যে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় একাধিকসূত্রে জানা যায়, গত ২০১৬ সালে বেগমগঞ্জ উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের হাওলাদার বাড়ীর আজাদ হোসেনের মেয়ে মর্জিনার সাথে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক পারিবারিক ভাবে আরিফ হোসেনের বিবাহ হয়। গত ৫/৬ বছর তারা সুখেই সংসার করছিল।
স্বামী আরিফ জীবীকার তাগিতে ঢাকায় থাকায় দেবর আরমান ও মর্জিনার মধ্যে অসম প্রেমের সম্পর্ক শুধু হয়। এ সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত ১ বছর যাবত শারীরিক সম্পর্ক কে রূপ নেয় বলে সালিশে জানায়। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে আরমান ও মর্জিনার আপত্তিকর অবস্থায় মর্জিনার শাশুড়ী (আরমানের মা) তাদেরকে দেখতে পায়। বিষয়টি শাশুড়ী বড় ছেলে আরিফকে জানালে আরিফ স্ত্রীর বাপের বাড়ীর লোকজন ও স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের নেতৃত্বে গণ্যমান্যদের নিয়ে এক সালিশ বৈঠক বসে। ঐ বৈঠকে জিজ্ঞাসাবাদে মর্জিনা সালিশদের সাফ জানিয়ে দেয় যে, আমি আরিফের সাথে আর সংসার করবোনা। আরমানের সাথে আমার প্রেমের সম্পর্ক থেকে শারীরিক সম্পর্ক পর্যন্ত গড়ায়, আমি তার সাথেই সংসার করব।
এমনকি মর্জিনার পরিবারের লোকজনও অসম প্রেমিক আরমানের সাথে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য সালিশদের নিকট প্রস্তাব দেয়। মর্জিনা ও তার পরিবারের এমন বক্তব্যে উপস্থিত সালিশগণ তার কৃতকর্মের জন্য বিবাহ না দিয়ে সংশোধন হওয়ার কথা বললে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে মর্জিনার ভাই ও ভগ্নীপতি সুমন কিছু বহিরাগত লোক নিয়ে সালিশদারদের উপর হামলা চালালে সালিশ পণ্ড হয়ে যায়। পরদিন সোমবার মর্জিনার ভাই ইমরান বাদী হয়ে যৌতুক আইনে মর্জিনার স্বামী আরিফের বিরুদ্ধে সোনাইমুড়ী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ তার বাড়ী থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরিফকে থানায় নিয়ে আসে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরিফ পুলিশ হেফাজতে থাকলেও সহোদর আরমান গা ডাকা দিয়েছে। এ বিষয়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসি গিয়াস উদ্দিন জানান, মর্জিনার ভাই ইমরান বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছে, আমরা এর যথাযথ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছি।
Leave a Reply