শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
প্রতিবেদক: নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.দিদার-উল-আলম এর সুখ্যাতি বিনষ্ট করার লক্ষ্যে গত ৯ জুলাই ২০২০ এসএ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘টকশো’ এবং ৮ মে ২০২০ ‘নোবিপ্রবি উপাচার্য দপ্তর’ নামীয় আইডির ফেসবুক পোস্টের ফটো কমেন্টে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা বক্তব্য আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এসএ টেলিভিশনে প্রচারিত ‘টকশো’র একাংশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.দিদার-উল-আলম প্রসঙ্গে সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম অহিদুজ্জামান সম্পূর্ণ কল্পনাপ্রসূত ও উদ্ভট তথ্যের প্রচার করেছেন। টকশো আলোচনায় দুর্র্নীতি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে সাবেক উপাচার্য বলেন, ‘মনে করেন আমি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলাম। বলা যায় যে, চল্লিশ বছর আমাকে চিনে সবাই। আমারটা কিন্তু এজেন্সিতে যাচাই হয়েছে।
আর যারা দেখা যায় বাংলাদেশই মানেন না, আওয়ামী লীগের লোক তো নই-ই, তাকে যেখানে উপাচার্য করা হলো, এ ফাইলটা কিন্তু সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে গিয়ে সাইন হয়েছে। এটা কিন্তু আর এজেন্সিতে গেলো না’। আমরা এমন অসত্য, বানোয়াট বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা নোবিপ্রবি পরিবার দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিছক কোনো ব্যক্তি কিংবা পদবি নয়, এটা একটি প্রতিষ্ঠান। বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম সম্পর্কে সাবেক উপাচার্য এমন নিন্দনীয় বক্তব্য মিডিয়াতে প্রকাশের মাধ্যমে তিনি শুধু এই প্রতিষ্ঠানকে খাটো করেননি, তিনি নোবিপ্রবিসহ একই সঙ্গে রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সাংবিধানিক ক্ষমতাবলের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাঁদেরকে জাতির সামনে হেয় প্রতিপন্ন করেছেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ জুন ২০১৯ নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মো.দিদার-উল আলম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার ও এনভায়রনমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ নোবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ধারা ১০ এর (১) অনুযায়ী আগামী চার বছরের জন্য তাঁকে নিয়োগ দেন। উপাচার্য ১৩ জুন ২০১৯ বিশ্ববিদ্যালযে যোগদান করেন।
অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলম ১৯৬৯ সালে নারায়ণগঞ্জের জয়গোবিন্দ হাই স্কুল থেকে প্রথম বিভাগে এসএসসি ও নারায়ণগঞ্জ তোলারাম কলেজ থেকে প্রথম বিভাগে এইচএসসি সম্পন্ন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিষয়ে বিএসসি ও এমএসসি উভয় পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। এরপর তিনি স্কটল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অ্যাবারডিন থেকে ১৯৯০ সালে প্ল্যান্ট অ্যান্ড সয়েল সায়েন্স বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
Leave a Reply