শুক্রবার, ০৯ জুন ২০২৩, ১০:৫৬ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক:দক্ষিণ এশিয়াজুড়ে ভারি বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসের কারণে গত এক মাসে কমপক্ষে ২২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। বাড়িঘর প্লাবিত হওয়ায় বাস্তুচ্যুত হয়েছেন লাখ লাখ মানুষ।
আল-জাজিরা জানিয়েছে, বন্যা ও ভূমিধসের কারণে নেপাল, বাংলাদেশ ও ভারতের দশ লাখেরও বেশি মানুষ এখন পানিবন্দী। কয়েক লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র উঁচু স্থানে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন। বন্যকবলিতদের অনেকে খাবার পাচ্ছেন না। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে তাদের।
ভারতীয় কর্মকর্তারা শুক্রবার বলছেন, নতুন করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আরও ১৬ এবং মুম্বাইয়ে ভবন ধসে আটজনসহ দেশটিতে বন্যা-ভূমিধসে দেশজুড়ে ১০১ জন মারা গেছেন। এছাড়া গত এক মাসের বন্যায় নেপালে কমপক্ষে ১১৭ জন ছাড়াও বাংলাদেশে বন্যায় প্রাণহানির সংখ্যা তিনজন বলে জানা গেছে।
উৎপত্তি স্থল তিব্বত থেকে ভারত ও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া এশিয়ার দীর্ঘতম নদী প্লাবিত হওয়ায় গত মাসে ভারতের আসাম রাজ্যের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির তৈরি হয়। শুধু বন্যা নয় শুরু হয় ভূমিধসও। কর্মকর্তারা বলছেন, আসামে ৩৬ লাখ মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।
বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ভারী বৃষ্টি ও নদীর প্লাবনের কারণে গত মাসে বন্যা শুরুর পর থেকে কমপক্ষে তিনজনের প্রাণহানি হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন দশ লাখের বেশি মানুষ। বলা হচ্ছে, ১৬ বছর অর্থাৎ ২০০৪ সালের পর এমন দীর্ঘমেয়াদি বন্যার কবলে পড়েছে বাংলাদেশ।
আল-জাজিরা বলছে, বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত নদীর সংখ্যা ২৩০টি। এবারে দেশটিতে দীর্ঘমেয়াদি বন্যার মূল কারণ, ভারী বৃষ্টি এবং উজানে (বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারত অংশে) ধাপে ধাপে ভারী বৃষ্টিপাতের সঙ্গে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবাহিত নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়া।
দেশের আবহাওয়া পূর্বাভাস ও সতর্কতা কেন্দ্র বৃহস্পতিবার জানায়, বহ্মপুত্র এবং তিস্তা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলগুলোর অবস্থা আরও খারাপ হওয়ায় আগামী সপ্তাহ থেকে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটবে। এছাড়া আগামী দুই সপ্তাহ বন্যার পরিস্থিতি উন্নতির কোনো সম্ভাবনা নেই বলে তাতে জানানো হয়েছে।
Leave a Reply