সোমবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১২:২৯ অপরাহ্ন
মঙ্গলবার দুপুরে নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কুমিল্লা বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক সদ্য মরহুম আব্দুল আউয়াল খান স্মরণে এই দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে কৃষক দলের সদস্য মাইনুল ইসলাম, সংগঠনের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জাকির হোসেন, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ইফতেখারুজ্জামান শিমুল, স্বেচ্ছাসেবক দলের মোর্শেদ আলম সহ বিভিন্ন অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রিজভী বলেন, বর্তমান সরকারের দুর্নীতির কারণে দেশের হাসপাতালগুলোতে স্বাস্থ্যসেবা ভেঙে পড়েছে। আজকে এইসব দুর্নীতির সাথে জড়িত কারা? পত্রিকার খবরে বলা হচ্ছে মন্ত্রী-এমপি ও তাদের সন্তানেরা জড়িত।
করোনা নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা প্রসংগে তিনি বলেন, আজকে সংবাদপত্রের পাতায় বেরিয়েছে গত দুইদিন ধরে করোনা পরীক্ষায় মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। কারণ মানুষ হাসপাতালে যাচ্ছে না। কারণ যে অসুস্থ না তাকে যদি পজিটিভ সার্টিফিকেট দেয়া হয় তাহলে তো তার সবই শেষ। আর যে অসুস্থ আছে, যে আক্রান্ত হয়েছে তাকে দেয় নেগেটিভ সার্টিফিকেট। এই আতঙ্ক নিয়ে কেনো মানুষ হাসপাতালে যাবে? কেনো পরীক্ষা করাবে? এই কারণে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা দিনকে দিন কমে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে অনাচার-অবিচার, রাজনৈতিক মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ভয়ংকরভাবে দমন করা। এই দমন করার মধ্য দিয়েই আমরা দেখেছি এই অনাচারগুলো, সমাজের মধ্যে বিশৃঙ্খলাগুলো, এই জাল-জালিয়াতি, এই বাটপারি তৈরি হয়েছে, সমাজের মধ্যে সাহেদদের উত্থান হয়েছে। সাবরিনাদের উত্থান ঘটেছে। আজকে সরকারের অন্যান্য দফতরগুলোতেও চলছে সীমাহীন দুর্নীতি। খবরের কাগজে বেরিয়েছে একটা চামচের দাম ১ হাজার টাকা, ১ টা বটির দাম ১০ হাজার টাকা।
দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, আজকে হাসপাতালে আইসিইউ নেই, বেড নেই, ভেন্টিলেটর নেই, হাসপাতালে মাস্ক নেই। আর নকল মাস্ক নিয়ে এসছে তার সাথে কে জড়িত? মন্ত্রীর ছেলে। ভেন্টিলেটর এখন এই মুহুর্তে জীবন বাঁচানোর একটি অন্যতম সরঞ্জাম।
সেটি আমদানি করতে একে তো আওয়ামী সিন্ডিকেট তার উপরে মন্ত্রীর আত্মীয়-স্বজনেরা। তাহলে কি করে মানুষ বাঁচবে? মানুষ বাঁচানোর কোনো জায়গা তারা (সরকার) রাখবে না।আক্রান্ত রোগী রাস্তায় মরছে, অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে মরছে। অবহেলা আর বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছে সাধারণ মানুষ।
তিনি আরও বলেন, আজকে বর্তমান সরকারের আমলে বিরোধীদলের কোনো ছেলে মেয়ে চাকরি পাচ্ছে না। তাদেরকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। বিএনপি বা বিরোধী দলের পরিবারের কেউ সরকারি চাকরিতে গেলে সেই প্রার্থীর বংশে বা আত্মীয়স্বজনের মধ্যে যদি কেউ বিএনপি সমর্থক থাকে তাহলে তার কোনো চাকরি নেই। আর আওয়ামীলীগ হলেই সাত খুন মাফ। কারণ আমি ডিসি, এসপি। আমার কেউ কিছু করতে পারবে না। এই হচ্ছে আজকের বর্তমান পরিস্থিতি।
Leave a Reply