বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৭:৩৮ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক : নোয়াখালীর চাটখিলে আবদুস সাত্তার (৩৫) নামে এক রিকশাচালক ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় পুলিশ মামলার ২ নম্বর আসামিকে আটক করেছে। আটককৃত, অন্তর (২০) চাটখিল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সুন্দরপুর গ্রামের ইউসুফ আলী দফাদার বাড়ির মৃত সুমন’র ছেলে।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) দুপর ৩টার দিকে প্রধান আসামির সীকারোক্তি অনুযায়ী তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল ট্র্যাকিং করে খাগড়াছড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ। আগামীকাল শনিবার তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হবে।
চাটখিল থানা সূত্রে জানা যায়, অধিক লাভের আশায় নিহত রিকশাচালক মাঝে মাঝে তার রিকশায় ইয়বা ব্যবসায়ীদের ইয়াবা পাচার করত। এ তথ্য জানা ছিল কিছু ইয়বা আসক্ত মোহন ও অন্তরের। পরে গত (২১ জুলাই) রাতে ইয়াবা আসক্ত মোহন ও অন্তর ইয়াবার লোভে পড়ে কৌশল করে নিহত আবদুস সাত্তারের রিকশা ভাড়া নিয়ে ঘুরতে বাহির হয়। এক পর্যায়ে তারা রিকশাচালক আবদুস সাত্তারের কাছে ও তার গাড়িতে ইয়াবা খোঁজ করে। পরে ইয়াবা নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে তারা ছুরিকাঘাতে ওই রিকশাচালককে হত্যা করে।
চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে একটি শার্টের কলারের কিছু ছেঁড়া অংশ ও ১টি ওড়না পায়।
পরে ওই শার্টের কলার ও ওড়নার সূত্র ধরে এবং গোয়েন্দা তথ্য ও মোবাইল ট্র্যাকিং করে মামলার প্রধান আসামি মোহনকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারের পর হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি অনুযায়ী মামলার অপর আসামি মোহনকে খাগড়াছড়ি থেকে গ্রফতার করে পুলিশ । তিনি আরও জানান, এ মামলার দু’আসামিকে ঘটনার ৪৯ ঘন্টার মধ্যে পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত (২১ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চাটখিল পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সুন্দরপুরের ভিপি মিজান রোডের আবু মিয়া বাড়ির দক্ষিণ পাশে রাস্তার উপর ওই রিকশাচালককে বুকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়েছে।
নিহত রিকশাচালক আবদুস সাত্তার (৩৫), নোয়াখালী সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের পশ্চিম মইচরা গ্রামের কালু মিয়ার ছেলে। নিহতের স্বজনেরা জানান, সে গত ২০-২৫ দিন আগে চাটখিল উপজেলায় আসে। তার এক খালাতো ভাইয়ের সাথে চাটখিল ১১নং পোল এলাকায় থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছিল। এর আগে সে একটি ইটভাটায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করত।
Leave a Reply