শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১১:০৩ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক: নোয়াখালী সদর উপজেলার ১নং চরমটুয়া ইউপির ফাজিলপুর গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পাটোয়ারী বাড়িতে মৃত মহিউদ্দিনের বসত ঘরে সোমবার রাতে সন্ত্রাসী হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসময় সন্ত্রাসীদের এলাপাতাড়ি আঘাতে নুর জাহান বেগম (৫০), আবদুল মজিদ (১৭),সীমা বেগম (১৮),শাহিনুর (১৬)ও মামুন (২৫) আহত হয়েছে।
সরজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে ভোক্তভুগী মাসুদ ও তার পরিবার অভিযোগ করে জানান, একই এলাকার প্রতিপক্ষ আবদুল মান্নান এর ছেলে সন্ত্রাসী মুরাদ এর সাথে কথাকাটাকাটি কে কেন্দ্র করে গত বছর তাদের ঘর বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও আগুন দেয় মুরাদ ও তার সহযোগী সন্ত্রাসীরা। পরে এ বিষয়ে এলাকার চেয়ারম্যান মেম্বারগন তাদের কাছ থেকে ক্ষতিপুরণের আশ্বাস দিয়ে শালিসী বৈঠকে বসার কথা থাকলেও তারা না বসে উল্টো মাসুদদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করে।
ঐ মামলায় মাসুদের ভাই মজিদকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করে।পুলিশের ভয়ে মাসুদের পরিবার পালিয়ে জীবন যাপন করে। দীর্ঘদিন পর গত সোমবার মজিদ জামিনে বেরিয়ে আসলে ভাইয়েরা মজিদকে আনতে জেল খানায় যায় ।
তখন ঘরে তার মা, বোন ও দুই ভাইয়ের স্ত্রীরা ছিল। এসময় সন্ত্রাসী মুরাদ, মনির , সুমন,নুরুল আমিন,ইসমাইল,ইব্রাহিম,জামাল হুদা সহ ২০/২৫ জন মাসুদের ঘরে ঢুকে তার মা বোন ও স্ত্রীদের উপর ঝাপিয়ে পড়ে তাদের মারধর শ্লীলতা হানী করে এবং ঘরের স্বর্নালংকার লুট করে। এসময় মাসুদ ও তার ভাইয়েরা বাড়ি এসে পড়লে তাদের মারধর ও মামুনকে কুপিয়ে মাথায় রক্তাক্ত জখম করে আহত করে এবং ঘরের টিন কুপিয়ে ভাংচুর ও তান্ডব চালায়। তাদের শোরচিৎকারে এলাকাবাসি ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
এবিষয়ে চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন বাবলু মুঠোফোনে জানান, উভয়ের দন্দ দির্ঘদিনের পবিত্র ঈদুল আযহার পরে তাদের নিয়ে বসে মিমাংসার কথা রয়েছে।
Leave a Reply