বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০১:১২ অপরাহ্ন
প্রতিবেদক: নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মানব পাচারকারী চক্রের মহিলা সদস্য গ্রেফতার। মানব পাচার আইনে থানায় মামলা। পুলিশের নিকট দোষ স্বীকার। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন রশীদ চৌধুরী জানায়,থানার ফাজিল পুর গ্রামের আবদুল খালেক থানায় এসে জানায় তার ছোট ভাই শাহাবুদ্দীন ২০১৯ সালে লিবিয়া যায়, সেখানে তার সাথে সোনাইমুড়ী থানা এলাকার জনৈক আলমগীর হোসেনের সাথে পরিচয় হওয়ার পর আলমগীর তাকে ইটালী নেয়ার প্রস্তাব করে লিবিয়ার এিপোলীর নাজুবা নামক স্হানে আটক করে রাখে।
এবং বড় ভাই আবদুল খালেকের নিকট প্রথমে বিকাশে ৫০ হাজার টাকা,পরে আলমগীরের স্ত্রীর লক্ষীপুর শাখা ডাচ বাংলা ব্যাংকে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে বলে। এর পর আবার ১ লাখ৫০ হাজার টাকা দিতে খালেকের ইমুতে লিখে এবং তার ছোট ভাই শাহাবুদ্দিন এর হাত পা বাঁধাও নির্যাতনের ছবি পাঠালে সে বেগম গন্জ পুলিশের স্মরনাপন্ন হয়।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হারুন রশীদ চৌধুরী শোনার পর পরই আলমগীরের স্ত্রী মাহবুবা আক্তার লিপিকে গ্রেফতার করলে মাহবুবা আক্তার লিপি তার দোষ স্বীকার করে টাকা নেয়া ও লিবিয়ায় শাদাব কে আটক রাখার কথা স্বীকার করে।এব্যাপারে বেগমগঞ্জ থানায় মানব পাচার ও দমন আইনের ২০১২ এর ৭/১০(১)/১৪ ধারায় সোমবার রাতে মামলা রুজু করেছে।
মংগলবার পুলিশ মাহবুবা আক্তার লিপি কে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরন করেন। পুলিশ তার স্বীকারোক্তি সূত্র ধরে আরো মানব পাচারকারী চক্রগুলোর খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছে বলে বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ হারুন রশীদ চৌধুরী জানান।
Leave a Reply