বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৮:২২ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক: জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়। বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। পরে ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন।
জাতীয় শোক দিবসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর দলীয় সভাপতি হিসেবেও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান শেখ হাসিনা। এরপর বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্ট শাহাদাতবরণকারী জাতির পিতার পরিবারের সদস্য ও অন্য শহীদদের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ এবং ফাতেহা পাঠ ও দোয়ায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।
ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর ১৫ আগস্টের শহীদদের রুহের মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির ইতিহাসের সবচেয়ে কালিমাময় দিন। রক্তঝরা এই দিনে জাতি হারিয়েছে তার গর্ব, ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে সেদিন ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে তার পরিবার-পরিজনকেও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়েছিল।
কতিপয় বিশ্বাসঘাতক রাজনীতিকের চক্রান্তে এবং সেনাবাহিনীর একদল বিপথগামী উচ্চাভিলাষী সদস্যের বুলেটের আঘাতে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সেদিন শাহাদাতবরণ করেন তার প্রিয় সহধর্মিণী শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামাল, সেনা কর্মকর্তা শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল এবং নবপরিণীতা দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল। প্রবাসে থাকায় জীবন রক্ষা পায় বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার।
করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারির কারণে এবার জাতীয় শোক দিবস পালিত হচ্ছে সীমিত পরিসরে ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে। দিনটি উপলক্ষে বাদ আসর বঙ্গভবনে মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ মিলাদে যোগ দেবেন। সারাদেশের মসজিদগুলোতে পবিত্র কোরআনখানি, মোনাজাত, দোয়া মাহফিল এবং মন্দির, গির্জা ও অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনার আয়োজন করা হবে। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পবিত্র কোরআনখানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা সভা হবে।
Leave a Reply