শুক্রবার, ২৭ জানুয়ারী ২০২৩, ০৮:৫৭ অপরাহ্ন
প্রতিবেদক:তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত এফডিসির হাত ধরে এদেশের চলচ্চিত্র শিল্প আবার তার স্বর্ণালী সময়ে ফিরে পাবে। শুধু তাই নয় বিশ্ববাজারেও সম্মানজনক স্থান করে নেবে।
সভার শুরুতে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সব শহীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এর আগে তথ্যমন্ত্রী বিএফডিসি প্রাঙ্গণে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। করপোরেশন ও চলচ্চিত্র পরিবারের প্রতিনিধিবৃন্দও এ সময় জাতির পিতাকে স্মরণ করে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।
ঢাকায় এফডিসি প্রতিষ্ঠাকে বঙ্গবন্ধুর অনন্য দূরদর্শিতার পরিচায়ক হিসেবে বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালে তৎকালীন প্রাদেশিক সরকারের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী থাকাকালে সংসদে উত্থাপিত বিলের মাধ্যমে যে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন প্রতিষ্ঠা করেন, তা বহু কালজয়ী সিনেমা ও গুণী শিল্পীর জন্ম দিয়েছে। এই সিনেমাগুলো আমাদের স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতাপরবর্তী দেশ গড়তে ভূমিকা রেখেছে। আজ আমরা চলচ্চিত্র জগতসহ সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় জাতির পিতার এই স্থাপনার হাত ধরে দেশের চলচ্চিত্রকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে দেব।’
“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছরের ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিকে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’, ‘তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা’ স্লোগান দিয়ে জাগিয়ে তুলে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন” বলে উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বাঙালির হাজার বছরের ইতিহাসে তিনিই জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন। সেজন্যই তিনি জাতির পিতা, সেজন্যই তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, যিনি শুধু রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই নয়, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এনে দিয়েছেন, তিন কোটি গৃহহারা মানুষকে পুনর্বাসন করেছেন, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছেন এবং যেসব আইনি কাঠামো গড়েছেন, তার ওপর ভিত্তি করেই আমরা সমুদ্র ও স্থলসীমা জয় করেছি, তেল-গ্যাসক্ষেত্রগুলো নিজেদের অধিকারে আনতে পেরেছি।’
তথ্যমন্ত্রী এ সময় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের হাতে শহীদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সব সদস্য, শহীদ জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধের সব শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
এর পরপরই বিএফডিসি চত্বরে চলচ্চিত্র পরিবার আয়োজিত শোক দিবসের সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনার জন্য আজ দেশের সাধারণ নাগরিক ও সাংবাদিক সমাজ দাবি জানিয়েছে। আমি আগে থেকেই বলে আসছি যে, শুধু এই হত্যাকাণ্ডের কুশীলবই নয়, যারা এর পটভূমি তৈরি করেছিল, তাদেরও মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের জন্য এখনই একটি কমিশন গঠন করা উচিত। মনে রাখতে হবে, এই হত্যাকাণ্ডের পর যারা এটিকে সমর্থন করেছিল, দায় তাদেরও আছে।’
Leave a Reply