সোমবার দুপুরে বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে আদালতে নেয়া হবে। এর আগে, ১৮ আগস্ট ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ তিন আসামিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে সাতদিনের রিমান্ডের জন্য র্যাব-১৫ কার্যালয়ে নেয়া হয়। এর মাঝে গত শুক্রবার (২১ আগস্ট) সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ র্যাব এর পদস্থ কর্মকর্তারা প্রধান তিন আসামি বরখাস্ত পরিদর্শক লিয়াকত, ওস প্রদীপ কুমার দাশ ও নন্দদুলালকে নেয়া হয় হত্যার ঘটনাস্থল শামলাপুর চেকপোস্টে।
সেখানে করা হয় ছোটখাট একটি ড্রিল। বোঝার চেষ্টা করা হয় কি ঘটেছিলো ৩১ জুলাই রাতে। সেখানে আসামিরা জানান, সেদিন কোন অবস্থানে ছিলেন। কিভাবে গাড়ি থেকে বের হন সিনহা। সঙ্গে গুলির ঘটনাও বিস্তারিত বর্ননা করেন তারা। ড্রিল শেষে তিনজনকেই নেয়া হয় ক্যাম্পে।
অন্যদিকে, ২২ আগস্ট কক্সবাজার কারাগার থেকে সিনহা হত্যা মামলার অপর তিন আসামি এপিবিএনের তিন সদস্যকে সাতদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। সেখানে প্রদীপসহ প্রধান তিন আসামির মুখোমুখি করা হয় এপিবিএনের তিনজনকে।
এছাড়া যে পিস্তল দিয়ে সিনহাকে গুলি করা হয়েছিল সেটি আলামত হিসেবে বুঝে নেয় র্যাব। সিনহার ওপর যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে সেটা কার তা জানতে পেয়েছে র্যাব। তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এই মামলার অন্যতম আসামি এবং পুলিশের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নন্দ দুলাল দাবি করেছেন ইনস্পেক্টর লিয়াকত তার অস্ত্রটি নিয়ে সিনহার ওপর ৪টি গুলি করেছেন। লিয়াকত তার নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি করেননি।
প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ। একে সরাসরি হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করছেন সিনহার স্বজনরা। সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেয়ার পর বিশ্ব ভ্রমণের পরিকল্পনা করছিলেন মেজর সিনহা রাশেদ। ভ্রমণ বিষয়ক একটি ইউটিউব চ্যানেল বানানোর কাজও চলছিলো তার। এরই অংশ হিসেবে সিনহা কক্সবাজারে ভিডিও তৈরির কাজে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে তার পরিবার। পরে পুলিশ দাবি করে, আত্মরক্ষার্থেই গুলি করা হয়েছে রাশেদকে।
Leave a Reply