শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১১:৩১ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক সন্তানের জননী প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে অসামাজিক কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় এলাকাবাসীর হাতে ধরা খেয়েছেন শাহাদাত হোসেন রাহাত (২১) নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।
সে মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বিজ্ঞান ও তথ্য সম্পাদক এবং মুছাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরনবী বাবুল’র ছেলে।
গত রোববার রাত ৮টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মধ্য মুছাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গত কিছু দিন আগে মুছাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মধ্য মুছাপুর এলাকায় বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন চরকাঁকড়া ইউনিয়নের একাডেমী বাজার সংলগ্ন এক বাহারান প্রবাসীর সুন্দরী স্ত্রী (১৯)। স্বামী বাইরে থাকার সুযোগে ঐ গৃহবধূর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল সাবেক প্রেমিক রাহাতের ।
এক পর্যায়ে গত রোববার রাতে পরকীয়া প্রেমিকার ঘরে পরিবারের কোন সদস্য না থাকার সুযোগে তারা দু’জন রাতের অন্ধকারে বসত ঘরের সামনে খাওয়ার ঘরে দীর্ঘ সময় অবস্থান করলে বিষয়টি স্থানীয়দের মনে সন্দেহের সৃষ্টি করলে স্থানীয়রা রাহাতকে ঘটনাস্থলে এবং তার সহযোগী মুছাপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠ বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার শাকিব (১৯) কে বাড়ির সামনে ঘটনাস্থল পাহারা দেওয়ার সময় আটক করে।
ওই সময় পরকীয়া প্রেমিকা দৌঁড় দিয়ে খাবার ঘর থেকে বসত ঘরে গিয়ে লুকিয়ে পড়ে। এলাকাবাসী গৃহবধূর একটি সন্তানের কথা চিন্তা করে এবং প্রভাবশালী পরিবারের সদস্য হওয়ায় লম্পট রাহাত ও তার সহযোগী শাকিব ক্ষমা চাইলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নামধারী ছাত্রলীগ নেতা রাহাত মুছাপুর ইউনিয়নের প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে হওয়ায় মাদক সংশ্লিষ্টতাসহ নানা অপকর্ম করে বেড়ায়।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাহাতের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে ফোন সংযোগে পাওয়া যায় নি।
অভিযুক্ত রাহাতের পিতা নুরনবী বাবুল অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক একটি মহলের ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেন তিনি।
মুছাপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্যাহ মাষ্টার বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে এ ধরনের কথা আমি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে আমি বিস্তারিত ভাবে কিছু অবগত নয়।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন মুন্না বলেন, এ বিষয়ে শুনেছি তবে এখনো বিস্তারিত কিছু জানি না। তবে তিনি দাবি করেন, অভিযুক্ত রাহাত ছাত্রলীগের কোন রাজনীতির সাথে জড়িত নেই।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.আরিফুর রহমান জানান, এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পুলিশ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে।
Leave a Reply