নির্যাতনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবি ছড়িয়ে পড়ার আগেই স্থানীয় ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে নালিশ নিয়ে যান ভুক্তভোগী নারী। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেননি তিনি।
অভিযোগ- দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো টাকার বিনিময়ে ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা করেন তিনি। দেড় হাজার টাকার দেয়ার প্রস্তাব দিয়ে আর মুখ না খুলে চুপচাপ থাকার পরামর্শও ছিলো তার।
ভুক্তভোগীর মেয়ে বলেন, ‘আম্মা বিচারের জন্য যখন ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগের কাছে যান তখন তিনি বলেন, তোমারতো পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউ নেই, আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না তুমি ওদের সঙ্গে পারবা না। ওরা তো রাজনীতি করে, ওদের গ্যাং অনেক বড়। এখন আমি তোমাকে ১৫০০ টাকা দিচ্ছি এটা নিয়ে বাড়ি চলে যাও আর ব্যাপারটা আমি দেখবো।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে মেম্বারের স্বজনরা বলছেন, ঘটনা ধামাচাপার চেষ্টা নয়, বরং টাকা দিয়ে ওই নারীর পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা ছিল তার।
সোহাগ মেম্বারের বোন জানান, ভুক্তভোগী নারীকে আর্থিক সহায়তার জন্যই ওই টাকা দেন সোহাগ। এমনকি নারীকে পুলিশের সহায়তা নেয়ার পরামর্শ দেন।
সোহাগ মেম্বারের বিরুদ্ধে ঘটনা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি ঐ ইউনিয়ন পরিষদের কেউই। স্থানীয়রা বলছেন, সোহাগ মেম্বার তৎপর থাকলে নির্যাতনের ভিডিও প্রকাশের আগেই ব্যবস্থা নেয়া যেতো।
Leave a Reply