শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
আলুর বাজারে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে আলু বিক্রিতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে হবে আলু। বুধবার এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে কৃষি বিপণন অধিদপ্তর।
আর পাইকারিতে আলুর দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ টাকা। কোল্ড স্টোরেজে থাকা আলু বিক্রি করতে হবে ২৩ টাকায়। বাজারের দাম ও সরবরাহ বিশ্লেষণ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত দাম অনুযায়ী আলু বিক্রির বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
কোল্ডস্টোরেজ, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে খুচরা বিক্রেতারা যাতে উল্লেখিত দামে আলু বিক্রি করে, সে জন্য কঠোর মনিটরিং ও নজরদারির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়ে ডিসিদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
গত কয়েক বছর ধরে খুচরা পর্যায়ে ২৫-৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া আলুর দাম এখন রাজধানীতে ৫০ টাকা, স্থানভেদে ৫৫ টাকা। বুধবার রাজধানীর বাজারগুলোতে খুচরায় প্রতি কেজি আলু ৫০-৫২ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ সরকারি কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের হিসাবে, গত মওসুমে প্রতি কেজি আলুর উৎপাদন খরচ পড়েছে ৮ টাকা ৩২ পয়সা।
আলুর দামে অস্থিরতা ঠেকাতে গত ৭ অক্টোবর পণ্যটির দাম বিশ্লেষণ ও সর্বোচ্চ মূল্যের সুপারিশসহ জেলা প্রশাসকদের কাছে চিঠি দেয় কৃষি বিপণন অধিদপ্তর। হিমাগার পর্যায় থেকে প্রতি কেজি আলুর মূল্য ২৩ টাকা, পাইকারি/আড়তে এর মূল্য ২৫ টাকা এবং ভোক্তা পর্যায়ে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ৩০ টাকা হওয়া উচিত বলে জেলা প্রশাসকদেরকে কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশে গত মওসুমে এক কোটি ৯ লাখ টন আলু উৎপাদন হয়েছে, যদিও পণ্যটির বার্ষিক চাহিদা ৭৭ লাখ টন। সেই হিসাবে ৩১ লাখ টন আলু বিদেশে রপ্তানির জন্য প্রস্তুত থাকার কথা ।
ব্যয় বিশ্লেষণ করে চিঠিতে বলা হয়, মওসুমে হিমাগারে সংরক্ষণের সময় প্রতি কেজি আলুর মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ১৪ টাকা। প্রতি কেজিতে হিমাগার ভাড়া বাবদ তিন টাকা ৬৬ পয়সা, বাছাইতে ৪৬ পয়সা, ওয়েট লস ৮৮ পয়সা, মূলধনের সুদ ও অন্যান্য খরচ বাবদ ২ টাকা ব্যয় হয়। অর্থাৎ এক কেজি আলুর সংরক্ষণে সর্বোচ্চ ২১ টাকা খরচ পড়ে।
Leave a Reply