রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৩:২৩ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক: ওকালতনামায় স্বাক্ষর ছাড়া জামিন নিয়ে আসামি কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘটনায় ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার খন্দকার আল মামুনকে সতর্ক করে ক্ষমা করেছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে দেশের সব জেল সুপারকে আসামির ওকালতনামায় স্বাক্ষরের জন্য আসামি ভেতরে কি বাইরে আছে, তা ভেরিফাই করে ওকালতনামায় স্বাক্ষর ও রেজিস্ট্রিভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া ওকালতনামায় সংশ্লিষ্ট জেলার বা ডেপুটি জেলারকে পূর্ণ নামসহ স্বাক্ষর করতে হবে। এ বিষয়ে আদেশটি কার্যকর করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), কারামহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ও সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। ডেপুটি জেলারের পক্ষে ছিলেন মো. আলী আজম।
এর আগে ওকালতনামায় স্বাক্ষর ছাড়া জামিন নিয়ে আসামি কারাগার থেকে বের হয়ে যাওয়ার ঘটনায় গতকাল রোববার নিঃশর্ত ক্ষমা চান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ডেপুটি জেলার খন্দকার আল মামুন।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, এনআরবি ব্যাংকের ১১ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে জিওলোজাইজ সার্ভেয়ার করপোরেশনের প্রোপাইটর অ্যান্ড চিফ সার্ভেয়ার মিজানুর রহমান কনকের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করে দুদক। এ মামলায় গত ১৫ জুন হাইকোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। তবে সে সময় করোনার কারণে এফিডেফিট শাখা বন্ধ থাকায় আদালত বলেছিলেন, নিয়মিত আদালত চালু হওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে এফিডেভিট করে দাখিল করতে। পরে নিয়মিত আদালত চালু হলে এফিডেভিট করতে গিয়ে দেখেন, তাঁর একটি মামলার ওকালতনামায় জেলারের স্বাক্ষর নেই। বিষয়টি তখন আদালতের নজরে আনা হয়। আদালত ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিয়ে পরবর্তী দিনে এফিডেভিট আদালতে দাখিল করতে বলেন। এরপর আসামিপক্ষ ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষরসংবলিত নথি দাখিল করে। বিষয়টি দেখে আদালতের খটকা লাগে, আসামি জামিন নিয়ে বাইরে থেকে ডেপুটি জেলারের স্বাক্ষর কীভাবে পেল। তখন আদালত ডেপুটি জেলার খন্দকার মো. আল মামুনকে তলব করে ১১ অক্টোবর হাজিরের আদেশ দেন।
ডেপুটি জেলার গতকাল আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে নিজের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আদালতকে তাঁর আইনজীবী জানান, কারাগারে একসঙ্গে তিনশ থেকে চারশ ওকালতনামায় স্বাক্ষর করতে হয়। তখন বিষয়টি দেখে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বিধায় এমন ভুল হয়েছে।
Leave a Reply