শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৮:০৬ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক: নতুন নির্বাচনে দিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দাবিতে ‘মামার বাড়ির’ আবদার বলেছেন ওবায়দুল কাদের।
বিএনপি মহাসচিবের সোমবারের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক।
ঢাকা-৫ ও নওগাঁ-৬ আসনের উপনির্বাচনে কারচুপির অভিযোগে সোমবার রাজধানীতে বিক্ষোভ করে বিএনপি। এ সময় ফখরুল ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনসহ সব উপনির্বাচন বাতিল করে নির্দলীয় সরকারের অধীনে ‘ফ্রেস নির্বাচনের’ দাবি জানান।
কাদের বলেন, ‘কিন্তু বিএনপি এ থেকে কখনো মধ্যবর্তী, কখনও ফ্রেশ নির্বাচনের দাবি তুলেছে। সম্পর্কহীন অযৌক্তিকভাবে, যেটা দুনিয়ার কোনো দেশেই এই ধরনের অযৌক্তিক দাবি বিরোধী দল উত্থাপন করেনি। ইস্যু না পেয়ে আন্দোলন করতে তো তারাই পারছে না। তাই এই ইস্যু নিয়ে সরকারের পদত্যাগ মামা বাড়ির আবদারের মতোই।
সরকারের পদত্যাগের দাবি তোলার আগে গত ১২ বছরে নির্বাচন ও আন্দোলনের ‘ব্যর্থতার দায়ে’ বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের পদত্যাগ করা উচিত বলেও মনে করেন কাদের। তার মতে বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাসে বিএনপিকে ‘সবচেয়ে ব্যর্থ বিরোধী দল’হিসেবেও অভিহিত করেন তিনি।
শনিবার ভোটার উপস্থিতি ঢাকায় কম হলেও দেশের অন্যস্থানে ‘ভালো ছিল’ বলেও মনে করেন কাদের।ঢাকা-৫ আসনে ভোট পড়েছে ১০.৪৩ শতাংশ আর নওগাঁ-৬ আসনে ৩৬.৪ শতাংশ।
এজেন্ট বের করে দেয়ার বিষয়ে বিএনপি যে অভিযোগ করেছে, তা অসত্য বলে মনে করেন কাদের। বলেন, ‘বিএনপি এজেন্ট না দিয়ে ভোটের দিন কার্যক্রম থেকে নিজেদের সরিয়ে রেখে নির্বাচনকে বিতর্কিত করার অপ্রয়াস চালায়, যা তাদের পুরোনা অপকৌশল।
‘তাদের জনসমর্থন দিন দিন নিম্নমুখী। নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে তারা নির্বাচন কমিশনের ওপর দোষ চাপায়।’
নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনায় সামাজিক আন্দোলনকে বিএনপি রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করছে অভিযোগ করে এরও সমালোচনা করেন কাদের। বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো দেশে পারিবারিক সহিংসতা, নারী ধর্ষণ, নারী নির্য়াতনের উর্ধ্বমুখী ঘটনা প্রবাহের মধ্যেও কোনো বিরোধী দল সরকারের পতন কিংবা সরকারের পদত্যাগের আন্দোলন করছে না।’
‘সামাজিক ঐক্য গড়ে তোলার মাধ্যমে এসব ঘৃণ্য অপরাধীদের আশ্যয়-প্রশ্রয় বন্ধ করতে হবে। এর সঙ্গে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয়ও বন্ধ করতে হবে।’
করোনাকালে বিশ্বব্যাপী সামাজিক অস্থিরতা বাড়ছে বলেও দাবি করেন কাদের। বলেন, ‘সমাজবিজ্ঞানীরা বলছেন, বিভিন্ন দেশে বেড়েছে পারিবারিক সহিষ্ণুতা, নারী ও শিশু নির্য়াতন।’
‘গার্ডিয়ান পত্রিকার হিসেব অনুযায়ী খোদ যুক্তরাজ্যে গত এক বছরে ৫৫ হাজার নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ইউরোপ জুড়ে এই প্রবণতা উর্ধ্বমুখী।
‘বাংলাদেশেও ধর্ষণসহ নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির বিধান রেখে আইন সংশোধন করা হয়েছে।
Leave a Reply