শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন

রিফাত হত্যা মামলায় ১১ কিশোরের সাজা, খালাস ৩

প্রতিবেদক: বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির মধ্যে ৬ জনের ১০ বছর, ৪ জনের ৫ বছর ও ১ জনের তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।এ মামলায় ৩ জনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার সময় জেলা শিশু আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।

১০ বছর কারাদন্ডপ্রাপ্ত ৬ আসামি হলো রাশেদুল হাসান রিশান ফরাজি, রাকিবুল হাসান রিশাত হাওলাদার, আবু আবদুল্লাহ রায়হান, ওয়ালিউল্লাহ অলি, নাইম ও তানভীর। ৫ বছর দন্ডপ্রাপ্ত ৪ আসামি হলো চন্দন সরকার, নাজমুল হাসান, রাকিবুল নেয়ামত এবং সাইদ বিল্লাহ মোহাম্মদ প্রিন্স নামের এক আসামিকে তিন বছরের দন্ড দেওয়া হয়।

মারুফ, রাতুল হাওলাদার এবং আরিয়ান হোসেন শ্রাবণকে মামলা থেকে খালাস দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার বরগুনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান দুপুর ১টা ১০ মিনিটে রায় পড়া শুরু করেন।

এর আগে সকালে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ কিশোরকে আদালতে হাজির করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে আট কিশোর জামিনে থেকে নিজেরাই আদালতে হাজির হয়। অপর ছয় আসামিকে প্রিজনভ্যানে করে পুলিশ কারাগার থেকে হাজির করে।

গত বছরের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করা হয় রিফাত শরীফকে। এ ঘটনায় দুই ভাগে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম ভাগে সম্পন্ন হয় প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচার। দ্বিতীয় ভাগে অপ্রাপ্তবয়স্ক ১৪ আসামির বিচার শুরু হয়।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিসহ প্রাপ্তবয়স্ক ১০ জনের রায় দেন বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান। ওই দিন রায়ে মিন্নিসহ ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করা হয়। চারজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া ছয় আসামি হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সাইমুন (২১)।

রায়ের আগে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। আর মো. মুসা হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন। যদিও মামলার প্রধান আসামি মো. সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়নবন্ড পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন। শিশু আদালতের মামলায় মোট ৭৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

কী ঘটেছিল সেদিন রিফাত বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের উত্তর বড়লবনগোলা এলাকার বাসিন্দা মো. আবদুল হালিম দুলাল শরীফের ছেলে। তিনি জেলা শহরে ডিশলাইনের ব্যবসা করতেন। রিফাত ১ নম্বর আসামি নয়নবন্ডের সঙ্গে বরগুনা জিলা স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং এবং তাঁদের উভয়ের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। কিন্তু আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে বৈরিতা সৃষ্টি হয়।

২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে সকাল ১০টা ১০ মিনিটের দিকে প্রকাশ্যে নয়নবন্ড ও তাঁর সহযোগীরা রিফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের সময় রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। পরের দিন ২৭ জুন মো. আবদুল হালিম দুলাল শরীফ বাদী হয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা (নম্বর ৩১, তাং-২৭/৬/১৯) করেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
© All rights reserved © 2017 nktelevision
Design & Developed BY Shera Web