রবিবার, ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৩:১০ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক: অবশেষে স্বেচ্ছায় ভাসানচরে যাচ্ছে রোহিঙ্গারা। ডিসেম্বের প্রথম সপ্তাহে যাবে এক হাজার জন। কক্সবাজারের থেকে প্রথমে চট্টগ্রাম, পরে সেখান থেকে নৌ বাহিনীর জাহাজে তাদের নেয়া হবে নোয়াখালীর এই আশ্রয়ন প্রকল্পে। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা– ইউএনএইচসিআর দায়িত্ব না নিলে আপাতত তাদের দেখভাল করবে সরকার।
গন্তব্য ভাসানচর। চরটির বয়স বিশ বছরের বেশি হলেও এটি মূলত আলোচনায় আসে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের পর ২০১৭ সালের কয়েক মাস পর থেকে। যখন বাংলাদেশ সরকার সিদ্ধান্ত নেয় কক্সবাজার আশ্রয় শিবিরে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে এমন এক লাখ রোহিঙ্গাকে এখানে সরিয়ে আনা হবে।
শুরু থেকেই এ সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে দাতারা। তাদের মূল বক্তব্য, চরটি বসবাসের অনুপোযোগী-বিরানভূমি। তবে সে দাবি যে ভিত্তিহীন তা প্রমাণ করছে ভাসানচর। ৩ বছরে এখানকার চেহারা পাল্টে দিয়েছে নৌ বাহিনী। এক লাখ রোহিঙ্গার জন্য তৈরি হয়েছে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম। এতে শেড আছে ১৪শ ৪০টি। প্রতি শেডে ঘর ১৬টি। এক কক্ষে থাকবেন ৪ জন করে। রাখা হয়েছে আলাদা রান্নাঘর, টয়লেট ও গোসলখানা। স্বাস্থ্য-শিক্ষা- বিদ্যুসহ সব সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে এখানে। এই বন্দোবস্ত দেখে এখানে আসতে আগ্রহী আশপাশের চরের বাসিন্দারা।
মিয়ানমারে ফেরার আগ পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে এখানেই রাখা হবে আশ্রয় শিবিরের এক লাখ রোহিঙ্গাকে। এখন আনা হচ্ছে যারা স্বেচ্ছায় আসতে চাইছেন শুধু তাদের। আর এজন্য প্রস্তুত নৌ বাহিনীর চার জাহাজ। এতে প্রাথমিকভাবে আনা হবে ২০০ পরিবারকে।
ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরে এখনো আপত্তি দাতাদের। তাই কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে মানবিক সহায়তার দায়িত্বে থাকা ইউএনএইচসিআর এনিয়ে কোনো সাড়া দিচ্ছে না। তাই ভাসানচরের রোহিঙ্গাদের দেখভালে বিকল্প ব্যবস্থা রেখেছে সরকার।
এদিকে সাগর থেকে উদ্ধার করা ৩০৬ রোহিঙ্গা গত চার মাস ধরে থাকছেন ভাসানচরে। পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন বলে ডিসেম্বর নাগাদ তাদের কক্সবাজারের আশ্রয় শিবিরে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Leave a Reply