শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৯:২৩ অপরাহ্ন
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন, ওটিটি বা ইন্টারনেট প্ল্যাটফর্মে কন্টেন্ট প্রদর্শন সংক্রান্ত নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠনের পর এবার টেলিভিশন রেটিং পয়েন্ট বা টিআরপি নির্ধারণ প্রক্রিয়ার বিষয়ে কমিটি গঠন করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী জানান, আগামী সপ্তাহ নাগাদ এই কমিটি গঠন চূড়ান্ত হবে।
টিআরপি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিপূর্বেও বলেছি, টিআরপি নির্ধারণে বিরাট অসামঞ্জস্য আছে। রাষ্ট্রীয় অনুমতি ছাড়া কোনো বেসরকারি সংস্থা টিআরপি দেয়ার কোনো এখতিয়ার রাখে না। সুতরাং এটি নিয়ম-নীতির মধ্যে আসা প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় যে টেলিভিশন মানুষ দেখে না সেই টিভি টিআরপিতে অনেক উপরে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশে টিআরপি নির্ধারণ পদ্ধতি নিয়ে আমরা পর্যালোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছি। টিআরপি নির্ধারণ কৌশল প্রণয়নের জন্য আগামী সপ্তাহে অংশীজনদের নিয়ে আমরা একটি কমিটি গঠন করে দেব। সেই কমিটিই নির্ধারণ করবে কিভাবে টিআরপি নির্ধারিত হবে।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন যে, ক্যাবল সংযোগে আগে টেলিভিশনের ক্রম ঠিক ছিল না। সেই ক্রম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সেটি মানা হচ্ছে। টিআরপির ক্ষেত্রেও নানাধরণের অসংগতি লক্ষ্য করা যায় এবং কিভাবে টিআরপি নির্ধারণ হয় সে নিয়েও অনেক প্রশ্ন অনেকে উপস্থাপন করেন, যেগুলোর নিরসন হওয়া প্রয়োজন।’
ওটিটি প্ল্যাটফর্ম দেশ, সমাজ তথা বৈশ্বিক বাস্তবতা এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য হওয়ায় এর সাথে মানুষের সংযোগ ক্রমাগত বাড়ছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য এই প্ল্যাটফর্মকে বাধাগ্রস্ত করা নয় বরং প্রতিবন্ধকতাগুলো দূর করা। অনেক সময় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের কিছু কিছু কন্টেন্টের কারণে রাষ্ট্র ও সমাজের স্থিতি বিনষ্টের উপক্রম হতে দেখা গেছে। ভারতে এমন হওয়ার পর সেদেশের সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করছে যে, ওটিটি প্ল্যাটফর্মের সমস্ত কন্টেন্ট একটি নীতিমালার ভিত্তিতে এক ধরণের সেন্সরের মাধ্যমে যেতে হবে।’
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমরা ঠিক সেভাবে করতে চাই না। ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শিত কন্টেন্টগুলো আমাদের কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ হওয়ার বিষয়ে আমরা বিভিন্ন অংশীজনের সাথে বৈঠক করেছি। সমস্ত কন্টেন্ট সেন্সরের মাধ্যমে যেতে হলে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হবে এবং একাজের জন্য যে লোকবলের প্রয়োজন, সেটিও সহজসাধ্য নয়। এজন্য একটি নীতিমালার প্রয়োজন। যার ব্যত্যয় হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া যায়। সেটিই দেশের মানুষ ও অংশীজনদের কাম্য।’
Leave a Reply