বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:০২ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদক: করোনা ভ্যাকসিন দেয়ার জন্য আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে নিবন্ধন শুরু করবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। প্রথম মাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা ভ্যাকসিন পাবেন তাদের তালিকা এরই মধ্যে তৈরি করেছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে করোনার ভ্যাকসিন বিষয়ে এক ব্রিফিংয়ে অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম জানিয়েছেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের করোনা ভ্যাকসিন আগামী ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে দেশে আসার দুই দিন পর বিভিন্ন জেলায় তা পাঠানো বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। প্রথম ধাপে ভ্যাকসিন পাবেন দেশের ৫০ লাখ মানুষ।
প্রথম মাসে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবেন যারা: ৭৭ থেকে ৮০ বছরের বয়স্ক ব্যক্তি, করোনা মোকাবিলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সামরিক ও বেসামরিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য, রাষ্ট্র পরিচালনায় অপরিহার্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারি, সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী, জাতীয় দলের খেলোয়াড়, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, প্রবাসী অদক্ষ কর্মী, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মচারী, ধর্মীয় প্রতিনিধি, মৃতদেহ সৎকারে নিয়োজিত কর্মী, জরুরি পানি-গ্যাস-বিদ্যুৎ-পয়:নিষ্কাশন কর্মী, স্থল-নৌ-বিমানবন্দর কর্মীরা এই টিকা পাবেন। এরপর, পাঁচটি ধাপে দেড় কোটি মানুষকে এই করোনা ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির আওতায় নিয়ে আসা হবে।
ওই ব্রিফিংয়ে করোনা টিকা বিষয়ক সরকারের পরিকল্পনার বিস্তারিত জানানো হয়। বলা হয়, করোনা টিকার প্রথম ডোজ দেয়ার আট সপ্তাহ পর দ্বিতীয় ডোজ দেয়া হবে। করোনা টিকা পরিবহন ও সংরক্ষণ কাজে সহায়তার জন্য যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সর্বাত্মক সহায়তা দেবে।
বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিন কর্মসূচির সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের থেকে তিন কোটি বা তার বেশি পরিমাণ ডোজ আনার কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ জনগোষ্ঠী বা তিন কোটি ৪০ লাখ মানুষের জন্য ৬ কোটি ৮০ লাখ ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে।
Leave a Reply