বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫১ পূর্বাহ্ন
নাছির উদ্দিন, কোম্পনীগঞ্জ : নোয়াখালীর অপরাজনীতি, সন্ত্রাসী ও চাকুরী বানিজ্য সহ সকল প্রকার অপকর্মের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় আমার বিরুদ্ধে সকল প্রকার সড়যন্ত্রে ব্যর্থহয়ে সর্বশেষ মিডিয়া থেকে দূরে সরানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে দাবি করেন বসুরহাট পৌরসভার সদ্য বিজয়ী আলোচিত মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।
সোমবার সকালে বসুরহাট পৌরসভা কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এসব কথা বলেন।
এসময় কাদের মির্জা বলেন, সোমা ইসলামের পরিচালনায় “টু দ্যা পয়েন্ট” অনুষ্ঠান থেকে আমাকে বের করে দেয়া হয়েছে। আজ উইঈ চ্যানেলের রাজকাহনে আমার আলোচনা ছিলো পরে নিষেধ করে দেয়া হয়েছে। এসব কারা করছে কেনো করছে তা আমার জানা আছে। আমি এসব নিয়ে চিন্তিত নই। আমি আমার আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এসময় তিনি নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিষয়ে কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে বলেন, আমি এক মাসের সময় দিয়েছি, এই সময়ের মধ্যে নোয়াখালীর অপরাজনীতির বিষয়ে যদি সিদ্ধান্ত না হয় আমি আবারো আমার নেতা কর্মিদের নিয়ে মাঠে নামবো। বঙ্গবন্ধুর এই সংগঠন পথহারা হয়ে যাবে তা কখনো মেনে নেয়া যায়না।
এই সংগঠনের জন্য আমি অনেক কষ্ট করেছি, ১৮টি মামলা ও জেল-জুলুম সহ শিবির ক্যাডারদের হাতে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছি। আমি সোনার চামুচ নিয়ে পৃথিবীতে জন্মাইনি, অনেক কষ্ট করে সংগ্রাম করে রাজনীতি করেছি। দলের জন্য আমাদের অনেক ত্যাগ আছে, এভাবে দলকে ধ্বংস হতে দেয়া যায়না।
ফেনী, চৌমুহনী, হাতিয়ার নির্বাচনের প্রশ্নে কাদের মির্জা বলেন, ফেনী ও হাতিয়ায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে যা আপনারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন। কিন্তু চৌমুহনী নির্বাচনে আমি অনিয়ম করতে দেইনি। আমি নির্বাচনের পূর্বে কঠোর ভাবে ডিসি ও এসপি সাহেবকে বলেছি চৌমুহনীতে যদি কোনো অনিয়ম হয় এর জন্য আপনারা দায়ী থাকবেন। প্রশাসন কঠোর থাকায় অস্ত্রধারীরা চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। তাই নোয়াখালী প্রশাসনকে আমি ধন্যবাদ জানাই।
ইউনিয়ন নির্বাচনের বিষয়ে কাদের মির্জা বলেন, ইতি মধ্যে কবিরহাট ও সুবর্নচর থেকে অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে প্রার্থিতা দেয়া শুরু হয়ে গেছে। কিন্তু কবিরহাটে যারা প্রার্থিতা ঘোষনা দিচ্ছে তারা বৈধ ঘোষক নয়। এখানে ঘোষনা দিবেন ওবায়দুল কাদের বা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, কিন্তু তাদেরকে ডিঙ্গিয়ে যারা ঘোষনা দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানোর ঘোষনা দেন কাদের মির্জা।
এমপি একরামুল করিম চৌধুরী নোয়াখালীতে ২৪ টা মায়ের বুক খালি করেছে দাবী করে কাদের মির্জা বলেন, নোয়াখালীর মানুষ এই একরাম বাহিনির হাতে জিম্মি, তার তৈরি সন্ত্রাসীরা দলীয় নাম ব্যবহার করে দির্ঘদিন সন্ত্রাসী চালিয়ে যাচ্ছে, সে তার ছেলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছে যা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়।
তার অপরাজনীতির কারনে আওয়ামীলীগের ঐতিহ্য বিলীন হয়ে যাচ্ছে নোয়াখালীর মাটিতে। আমি বেচে থাকতে এই অপরাজনীতি চলতে দিবোনা। নোয়াখালীর রাজনিতীতে আমাদের অনেক অবদান রয়েছে তাই চোখের সামনে দলের ক্ষতি কখনো মেনে নিতে পারিনা। আমি এমপি মন্ত্রী হতে চাইনা, কেন্দ্রীয় নেতাও হতে চাইনা, স্থানীয় সদস্য হিসেবে কাজ করবো, আমি প্রমান করে দিবো পদ-পদবি ছাড়া কাজ করা যায়।
এসময় বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র সজিব ওয়াজেদ জয়ের উক্তি টেনে কাদের মির্জা বলেন তিনি বলেছিলেন “সৎ থাকলে একটা সুবিধা আছে কখনো ভয় পেতে হয়না, সৎ থেকে যেকোনো কথা বলা যায়, করা যায়”। আমি আমার কাজ করে যাবো, বলে যাবো। জেল দিবে ভয় করিনা কারন অভিজ্ঞতা আছে। মেরে ফেলবে সমস্যা নেই, কবরের জায়গা দেখিয়ে দিয়েছি। কেউ আমার মুখ বন্ধ করতে পারবেনা।
আগামী প্রজন্মের প্রতি কাদের মির্জা বলেন, ছাত্ররা পড়া লেখায় মনোযোগী হও, কারন রাজনিতী মেধাশূন্য হয়ে পড়েছে। মেধাবিরা রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করে দাও, প্রয়োজনে সিমিত সময় ব্যবহার করো। সন্ধ্যার পর বাজারে আসা থেকে বিরত থাকো। খুব দ্রুতই ছাত্ররা বাজার-ঘাটে সন্ধার পর উঠা বন্ধের ঘোষনা দেয়ার কথাও জানান আবদুল কাদের মির্জা।
Leave a Reply