বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩, ০৮:০১ পূর্বাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরেছেন জেনারেল আজিজ

যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় তিনি দেশে ফিরেছেন বলে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) শনিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

২৯ জানুয়ারি মার্কিন সেনাবাহিনী প্রধানের আমন্ত্রণে তিনি ঢাকা ত্যাগ করেন। সফরকালে আজিজ আহমেদ মার্কিন সেনাপ্রধানসহ উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। মার্কিন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা ও প্রশিক্ষণ সুবিধাদি পরিদর্শন করেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তিনি।

আইএসপিআর জানিয়েছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনী প্রধান ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি, অফিস অব সেক্রেটারি অব ডিফেন্স ফর পলিসি সাউথ অ্যান্ড সাউথইস্ট এশিয়া এবং ডিফেন্স সিকিউরিটি কো-অপারেশনের প্রতিনিধির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতামূলক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের পাশে থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে সেনাবাহিনী প্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এছাড়া বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি রাশেদ চৌধুরীকে দ্রুত বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে জেনারেল আজিজ বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করেন। গত ৪ ফেব্রুয়ারি মার্কিন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ম্যাকনভিনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধানকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় ১৯ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শনসহ গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এছাড়াও আর্লিংটন ন্যাশনাল সেমেটারিতে গার্ড অব অনার প্রদানকালে বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়। পরে তিনি মার্কিন সেনাপ্রধানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনায় অংশ নেন। সাক্ষাৎকালে তিনি দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যকার সম্পর্ক আরও জোরদার এবং পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

গত সপ্তাহে সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের মিলিটারি অ্যাডভাইজার, আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল এবং জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধির সঙ্গে মতবিনিময় করেন। আলোচনার আগে জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পেশাগত দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। আলোচনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নতুন একটি হেলিকপ্টার ইউনিট মিশন এলাকায় মোতায়েনের জন্য এবং ডিআর কঙ্গোতে ১৩ সদস্যের একটি মিলিটারি পুলিশ ডিটাচমেন্ট প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।

এছাড়াও বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের মিশন এলাকায় গমনের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ব্যবহার, শান্তিরক্ষা মিশনে মহিলা শান্তিরক্ষীদের অবদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন এবং বিভিন্ন মিশন এলাকায় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের সংখ্যা বৃদ্ধির ব্যাপারে মতবিনিময় হয় বলে জানিয়েছে আইএসপিআর।

সেনাবাহিনী প্রধান জাতিসংঘের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জোরালো ভূমিকা বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি দেন। জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি এবং নীতিনির্ধারণী/ফোর্স কমান্ড পর্যায়ে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়াতে সেনাবাহিনী প্রধানের এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮  
© All rights reserved © 2017 nktelevision
Design & Developed BY Shera Web