বৃহস্পতিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৩, ০৪:২৩ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম
চাটখিলে যৌতুকের টাকা না পেয়ে গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ নোয়াখালী-৫ আসনে ওবায়দুল কাদেরের মনোনয়নপত্র জমা নোবিপ্রবিতে নবনিযুক্ত রেজিস্ট্রার ও প্রধান প্রকৌশলীর যোগদান নোয়াখালীতে চতুর্থবারের মতো মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন একরামুল করিম চৌধুরী চাটখিলে ৭ বছর বয়সী শিশুকে কুপিয়ে হত্যা শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের নেতাকর্মীদের সাথে সম্পর্কের মূল্যায়ন করেছেন: একরামুল করিম চৌধুরী নৌকায় ৯২ নতুন মুখ, ফিরলেন ১২ সাবেক এমপি নোয়াখালীর ৬টি আসনে আ’লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন পেলেন যারা নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর ফুলবাড়ী উপজেলা খাদ্য গুদামে আমন ধান ও চাউল সংগ্রহের উদ্বোধন

চতুর্থ দফায় ভাসানচর পৌঁছেছেন ২০১০ রোহিঙ্গা

প্রতিবেদক: চতুর্থ দফায় নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছেছেন দুই হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা।সোমবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা সেখানে পৌঁছান। তাদের মধ্যে ৪৮৫ জন নারী ,৫৭৭ জন পুরুষস ও ৯৪৮ জন শিশু রয়েছে।

একই দিন সকাল ৯ টার দিকে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বার্থ থেকে থেকে তাদের নিয়ে ৫ টি জাহাজ ভাসান চরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর আগে, রোববার সড়ক পথে তারা চট্রগ্রাম এসে পৌঁছান। রাতে তাদের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়। চতুর্থ দফায় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হবে বলে জানাগেছে।

ভাসানচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহে আলম জানান,রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়ী যোগে ওয়্যার হাউজ এ সমবেত করে ব্রিফ প্রদান করা হয়।পরে ভাসান চরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ,শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ৭,৮,৯,১০ নম্বর ক্লাষ্টারে তাদেরকে রাখা হয়।প্রথমধাপে ভাষানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০জন,পুরুষ ৩৬৮জন,নারী ৪৬৪জন।

গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরো ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশী রয়েছে প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন। গত বছরের ৮ মে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জল সীমায় ভাসতে থাকা ২৭৭ রোহিঙ্গাদের আরো একটি দলকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হয়। কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে বোটে ভাসমান অবস্থা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা দলটিতে ৯২ জন পুরুষ, ১৫৭ জন নারী ও ২৮ জন শিশু ছিল।

গত ২৯ জানুয়ারী ভাসানচরে এসে পৌঁছান এক হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। ।এদের মধ্যে পুরুষ ৪০৪ জন,মহিলা ৫১০ জন এবং আটশত ৬২ জন শিশু রয়েছে। ৩০ জানুয়ারী তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গা এসে পৌঁছায়। এদের মধ্যে পুরুষ ৩৪৭ জন,মহিলা ৪০৫ জন এবং ৭১৫ জন শিশু ছিলো ।

এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান শেষ হয়। ২০১৯ ইং সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সকল অবকাঠামো নির্মান। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে।এতে ১ লাখ রোহিঙ্গা বাসযোগ্য করা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮  
© All rights reserved © 2017 nktelevision
Design & Developed BY Shera Web