বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
সালাহ উদ্দিন সুমন, নোয়াখালী : নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে আশ্রিত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের জীবনযাত্রার সহায়ক ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কারিগরি প্রশিক্ষণে এনজিও মাঠ সহকারী, প্রকল্পের অফিস সহায়ক, হিসাব রক্ষক, ইউআরডিও ও এআরডিও সহ অদক্ষ ব্যক্তি দিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়ায় প্রশিক্ষণের সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোহিঙ্গারা।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা এসব রোহিঙ্গার কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে সেলাই, হাঁস-মুরগি পালন, মৎস্য চাষ, পশু পালনসহ নানা ধরনের প্রশিক্ষণের প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এই প্রশিক্ষণ পরিচালনায় চিফ কো-অর্ডিনেটরের দায়িত্বে রয়েছেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) প্রকল্প পরিচালক (পদাবিক) শংকর কুমার পাল। তার বিরুদ্ধেই অনিয়মের সবচেয়ে বেশি অভিযোগ উঠেছে।
বিআরডিবি নোয়াখালীর হাতিয়া কার্যালয় সুত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গা প্রশিক্ষণের এই প্রকল্পের আওতায় প্রথম ১৫ ব্যাচের প্রতিটি ব্যাচে ২৫০ জন রোহিঙ্গা অংশ নেন। ৫০ জনকে নিয়ে একটি গ্রুপ করে পাঁচটি গ্রুপের সমন্বয়ে পাঁচটি কক্ষে পাঁচ দিন ধরে ২৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। ১৫ ব্যাচ পর পরবর্তী প্রতি ব্যাচে ৪০ জন করে ৬০ ব্যাচ প্রশিক্ষণ নেয়। গত ২৭ জানুয়ারী প্রশিক্ষণ কর্মসূচির উদ্বোধনের পর গত ৬ মে পর্যন্ত ৭৫ ব্যাচে ৩ হাজার ১৫০জন রোহিঙ্গা প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
প্রশিক্ষণে প্রত্যেক রোহিঙ্গাকে প্রথম দিন ৩০০ টাকা মূল্যের একটি ব্যাগ, ১০ টাকার একটি কলম ও ৪০ টাকার একটি খাতা প্রশিক্ষণ উপকরণ হিসেবে দেয়ার কথা ছিল।
অভিযোগ রয়েছে, বাস্তবে ৬০ থেকে ৭০ টাকা মূল্যের ব্যাগ, ৩ টাকার কলম ও ১০ টাকা মূল্যের খাতা দেয়া হয়েছে। প্রথম পাঁচ ব্যাচের ২৫০ জনের মধ্যে প্রথম দিন প্রশিক্ষণ সামগ্রী এবং উন্নত খাবার পাওয়ার আশায় ২৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীই উপস্থিত হন। তবে পর্যাপ্ত সঠিক মানের উপকরণ ও উন্নত খাবার না পেয়ে পরদিন তাদের সংখ্যা কমে যায়, আসেন ১০০ থেকে ১২০ জন। এভাবে শেষ হয় ৫০জন করে ১৫ ব্যাচের প্রশিক্ষণ। পরবর্তী ৬০ ব্যাচের প্রশিক্ষণে প্রতি ব্যাচে ৪০জন প্রতিদিন পাঁচ ব্যাচে ২০০জন করে উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও প্রথম দিন উপস্থিতির সংখ্যা শতভাগ থাকলে পরদিন থেকে এর সংখ্যা নেমে আসে ৮০ থেকে ১০০জনে।
নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক ভাসনচরে রোহিঙ্গাদের একাধিক প্রশিক্ষক জানান, চলমান প্রশিক্ষণের প্রথম থেকে ২৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে প্রথমদিন সবাই উপস্থিত থাকলেও পরদিন থেকে মাত্র ১০০ থেকে ১২০জন এবং ২০০জন প্রশিক্ষার্ণীর মধ্যে ৮০ থেকে ১০০জনের মতো উপস্থিত থাকে। তবে প্রকল্প পরিচালক শংকর কুমার পালের নির্দেশে কৌশলে প্রথম দিনই প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে পাঁচ দিনের উপস্থিতির ঘরে স্বাক্ষর নেয়া হয়।
শেষ চার দিন উপস্থিতি অর্ধেক বা তার চেয়ে কম হলেও প্রশিক্ষণ ব্যাচে অংশ নেয়া সবাইকে উপস্থিত দেখিয়ে সকালের নাশতা, দুপুরের খাবার ও বিকেলের টিফিনের জন্য ভাউচার করা হয় জনপ্রতি ৩৮০ টাকা। অথচ স্থানীয় ফ্রেন্ডশিপ-২ হোটেল থেকে জনপ্রতি মাত্র ১২০ টাকায় দুপুরের খাবার কেনা হয়। সকাল-বিকেলের নাশতার জন্য খরচ করা হয় ৫০ থেকে ৭০ টাকা। এভাবে প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার ও প্রশিক্ষণ উপকরণ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক শংকর কুমার পাল ও হাতিয়া উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম।
ফ্রেন্ডশিপ-২ হোটেলের পরিচালক কামরুল ইসলাম জানান, দুপুরের খাবারের জন্য প্রতিজনের বিল করা হয় ১২০ টাকা। এ ছাড়া দুই বেলার নাশতার বিল রয়েছে। নাশতা একেক দিন একেক রকমের অর্ডার দেয়া হয়। এতে বিলও একেক দিন একেক রকমের হয়। সপ্তাহের প্রথমদিন রোববার খাবার ও নাস্তা ২০০জনের নেওয়া হয়। পরদিন থেকে ইউআরডিও’র নির্দেশে প্রশিক্ষণার্থীর উপস্থিতির হিসাবে খাবার ও নাস্তা সরবরাহ করা হয়।
এ প্রকল্পে বাহির থেকে প্রশিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয় ২০ জনকে। বর্তমানে রয়েছে ৮জন প্রশিক্ষক। প্রশিক্ষকদের ২৫ জনের নামে প্রতিদিন ৩৮০ টাকা হারে বিল করা হয়। ওই খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তোলেন প্রশিক্ষকরা।
মোহাম্মদ আলী, খায়রুল আমিন, জুলেখা বেগম, রোমাইয়া আক্তারসহ একাধিক রোহিঙ্গা প্রশিক্ষণার্থী মুঠোফোনে জানান, প্রশিক্ষণে যাইবার পর অ্যাঁরারে কইয়ে বহুত কিছু দিবো, কিন্তু কিছুই নো দে। ফজরত পেট ভরি নাস্তা দিবো, দুয়া-ও¹া পরোডা আর এক্ক্যানাছেরা ভাজি দিয়া শেষ। দুইরগ্যা কোনদিন ভাতের ওয়ারে এক্ক্যানাছেরা কুরার গোস্ত/দুই-তিন টুরা গরুর গোস্ত/ছোড এক টুরা মাছ ওয়ারে এক্কানা পাতলা ডাইল দিই পলিথিন ভরিয়েরে দিতো। বিয়েল বেলা কনো সময়ত কেক এক্ক্যান আবার কনো সময়ত ইতারার অফিসার অ্যাঁইলে কোক-টোক দিতো। অ্যাঁরারে প্রশিক্ষণ পরে মালামাল দিবো কইয়ে কনো কিছুুই নো দেই। অ্যাঁরা চাইলে ইতারা বকাঝকা দিতো।
প্রশিক্ষণে তোঁয়ারা কি শিখেছো, এমন প্রশ্নে, রোহিঙ্গা প্রশিক্ষণার্থী এইসব নারী-পুরুষ জানান, ইতারা ক্লাস গরার্জে, এগিন কিছুই নো বুঝি। অ্যাঁরারে বুঝাই পড়ার মতো কনো স্যার নাই এডে। শুধু অ্যাঁইন অ্যাঁর জন। পইল্যার দিন ইতারা অ্যাঁরারতুন সাত-আষ্টুয়া সই লইয়েরে পরদিনতুন অ্যাঁরার খোঁজখবর ইতারা নো রাখে। তাই প্রশিক্ষণে অ্যাঁরার কনো উপকার নো অয়।
প্রকল্প পরিচালক শংকর কুমার পালের অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় প্রশিক্ষণচ্যুত কৃষি সম্পদ প্রশিক্ষক মো. রাজু, প্রাণী সম্পদ প্রশিক্ষক মো. ফরহাদ, মো. সেলিম উল্যা বলেন, প্রথমে ছয় মাসের জন্য নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রশিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়। স্থানীয় প্রশিক্ষকের অনেকে প্রাপ্য ভাতা থেকে প্রকল্প পরিচালককে কমিশন প্রদান ও অতিরিক্ত ক্লাসের সম্মানী দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় এবং প্রশিক্ষক ও রোহিঙ্গা প্রশিক্ষণার্থীদের খাবার, প্রশিক্ষণ উপকরণের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় প্রথম ব্যাচ শেষে তাদের বাদ দিয়ে কমিশন দেয়ার মৌখিক চুক্তিতে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা থেকে অধিকাংশ প্রশিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
প্রশিক্ষকরা জানান, প্রতি ক্লাসের জন্য তাদের জনপ্রতি ভাতা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৫০০ টাকা। জেলার বাইরে থেকে নিয়োগ দেয়া এসব প্রশিক্ষকের যাতায়াত বিল ধরা হচ্ছে ‘প্রচুর’। তা ছাড়া ২০ জন প্রশিক্ষকের জন্য ২০টি কম্পোড কেনা হয়েছে ৮০০-৯০০ টাকা দরে। অথচ এসব কম্পোডের মূল্য ধরা হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা। স্পট কোটেশনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণের যাবতীয় মালামাল কেনার নিয়ম থাকলেও সব মালামাল সরবরাহ করেছেন প্রকল্প পরিচালক শংকর কুমার পাল নিজেই। প্রশিক্ষকদের খাবারও দেয়া হয় অত্যন্ত নিন্মমানের। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এইসব অনিয়মের ব্যাপারে অভিযোগ করলেই তাদের করা হয় প্রশিক্ষণচ্যুত। বিআরডিবি মহাপরিচালক ও পরিচালক প্রশিক্ষণের নাম ব্যবহার করে প্রকল্প পরিচালক শংকর কুমার পাল এইসব অনিয়ম ও দুর্নীতি করছেন এমন অভিযোগ প্রশিক্ষকদের।
সেলাই প্রশিক্ষক তাহমিনা আক্তার ও রুহানী তাসকিন ফারিন বলেন, আমাদের ডিজি স্যার প্রকল্প পরির্দশনে আসলে রোহিঙ্গাদের সেলাইয়ের প্রশিক্ষণ দেখে তাদের মানসম্মত প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করতে আমাদের কাছে প্রশিক্ষণ উপকরণের তালিকা চান। পরে প্রশিক্ষণ উপকরণ তালিকা তৈরী করে প্রকল্প পরিচালক শংকর কুমার পালের কাছে জমা দিলে তিনি ওই তালিকা নিয়ে আমাদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করেন। শংকর কুমার পাল বলেছেন, এত উপকরণ আমি দিতে পারবো না। যা দিয়েছি, তা দিয়ে চালিয়ে নাও। না হলে এখান থেকে চলে যাও। পরবর্তীতে উপকরণের অভাবে সঠিকভাবে প্রশিক্ষণ প্রদান করতে ব্যার্থ হওয়ার আশংকায় আমরা সেখান থেকে চলে আসি। প্রশিক্ষকদের পর্যাপ্ত উপকরণ না দিলেও শংকর কুমার পাল শতভাগ উপকরণের বিলে স্বাক্ষর নিয়ে বিল পাস করিয়ে সব টাকা হাতিয়ে নেন।
ভাসানচরে দক্ষ প্রশিক্ষকদের বাদ দিয়ে বর্তমানে প্রকল্প পরিচালক শংকর কুমার পালের নিয়ন্ত্রণাধীন এনজিও মাঠ সহকারী, প্রকল্পের অফিস সহায়ক, হিসাব রক্ষক, ইউআরডিও ও এআরডিও সহ অদক্ষ ব্যক্তিকে দিয়ে প্রশিক্ষণ নেয়া হচ্ছে।
অভিযোগ উঠেছে, প্রতি সপ্তাহে ৫ ব্যাচে ১২৫টি ক্লাস নেওয়া হয়। এর মধ্যে সবগুলো ক্লাস বাহির থেকে নিয়োগ দেয়া প্রশিক্ষকদের দিয়ে সম্পন্ন করে তাদেরকে দেওয়া হয় অর্ধেক ক্লাসের টাকা। বাকি অর্ধেক ক্লাসের টাকা ভাগ করে নেন প্রকল্প পরিচালক শংকর কুমার পাল ও তার অধিনস্থ কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট একটি সুত্র জানায়, শংকর কুমার পাল মূলত বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের পল্লী দারিদ্র বিমেচন কর্মসূচির (পদাবিক) প্রকল্প পরিচালক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ভাসনচরে রোহিঙ্গা প্রশিক্ষণের অতিরিক্ত প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব নিয়ে এখানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে যুক্ত হয়ে পল্লী দারিদ্র বিমেচন কর্মসূচির (পদাবিক) কোন কার্যক্রম সঠিকভাবে সম্পন্ন করছেন না এই কর্মকর্তা। এতে ওই প্রকল্পের ধারাবাহিক কার্যক্রম প্রতিনিয়তই হুমকিমূখে পড়ছে।
বিআরডিবি নোয়াখালীর উপপরিচালক হাফিজুর রহমান বলেন, আমি এখানে (ভাসানচর) এসেছি প্রশিক্ষক হিসেবে ক্লাস নিতে। প্রশিক্ষণার্থীর উপস্থিতি ও আর্থিক বিষয়ের সঙ্গে আমি সরাসরি জড়িত নই। প্রকল্প পরিচালক শংকর বাবু সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। আপনি ওনার সাথে যোগাযোগ করুন। এব্যাপারে আমি কোন মন্তব্য করতে পারবো না।
হাতিয়া পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তাও প্রায় একই কথা বলেন। তিনি বলেন, ভাসানচর খুবই দুর্গম এলাকা, আসা-যাওয়া ব্যয়বহুল। এসব বিষয়ে আমি কথা বলতে পারবো না। আপনি প্রকল্প পরিচালকের সাথে কথা বলেন।
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রকল্পের চিফ কো-অর্ডিনেটর শংকর কুমার পাল। তিনি বলেন, আপনাকে এসব কে বলেছে? বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ডের (বিআরডিবি) উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ) আউট সোর্সিং এর লোক নিয়োগ থেকে শুরু করে সব বিষয়ে তদারকি করেন। আর প্রকল্পটি মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় আরডিও (উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা) ও এআরডিও (সহকারী উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা)। তাদের স্বাক্ষরে সব কাজ হচ্ছে। আপনি তাদের কাছ থেকে প্রকল্প বিষয়ে খবর নেন। আমি এসব অনিয়মের কিছুই জানি না।
প্রকল্পের বরাদ্দের তথ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে গত ৭ মে থেকে আগামী ২২ মে পর্যন্ত এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বরাদ্ধের বিষয়ে এই মুহুত্বে বিস্তারিত বলা যাবে না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, এ পর্যন্ত ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের প্রশিক্ষণের জন্য ৬৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়েছে। নতুন বরাদ্দ পাওয়া সাপেক্ষে প্রত্যেক রোহিঙ্গা পরিবারকে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
হাতিয়া পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা (আরডিও) মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন বসের চাপে আছি। উনি যখন যা চাচ্ছেন, আমি তাই করতে বাধ্য হচ্ছি। এ ছাড়া আমার কোনো উপায় ছিল না। এ বিষয়ে জানতে হলে আপনি পিডির (প্রকল্প পরিচালক) সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
Leave a Reply