মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩৭ অপরাহ্ন
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে রাজাকারের সন্তান উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান এমপি বলেছেন, বন্দুকের নলের মুখে যে দলের জন্ম হয়েছে তারা দেশের মানুষ নিয়ে কথা বলার মৌলিক অধিকার রাখে না। মির্জা ফখরুলের মতো বিশ্বাসঘাতকের মুখে, একজন রাজাকার সন্তানের মুখে বড় বড় কথা মানায় না।
মঙ্গলবার (২৯ জুন) দুপুর ১২ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী হলে আওয়ামী লীগের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট কেন্দ্রীয় কমিটি আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে- বিএনপি মহাসচিবের এমন মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যার মাস্টারমাইন্ড। বিএনপি একটি দেউলিয়া, কর্মীশূন্য দল। আন্দোলন সংগ্রাম জানে না। ক্যান্টনমেন্টে তাদের জন্ম হয়েছে আওয়ামী লীগের বিরোধিতা, বাংলাদেশের চেতনা ও স্বাধীনতার বিরোধিতা করার জন্য।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস বাংলাদেশের ইতিহাস। বাঙালিরা একজন নেতার জন্য হাজার বছর অপেক্ষা করেছে। জাতির পিতা বাঙালি জাতিকে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নও করেছিলেন। অধিকার আদায়ে তিনি আমৃত্য্ ুকাজ করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর কারণেই আজকে আমরা মুক্ত স্বাধীনভাবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, খুনী মোশতাক-জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিলো। কিন্ত বঙ্গবন্ধু কন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বে আমরা আজ আত্মনির্ভরশীল। পুরো বিশ্বে আজ বাংলাদেশ রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী মো. আহসান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এবং সমন্বয়কারী মিয়া এনামুল-রোপন শেখ মোহাম্মদ কাদির ও মুক্তার আহমেদ অপুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চিত্রনায়ক ডেনি সিডাক।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হেদায়েতুল ইসলাম স্বপন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী শিল্পীগোষ্ঠী ও জয় বাংলা ঐক্য জোটের সভাপতি সালাউদ্দিন বাদল, জাগরণ টিভি’র নির্বাহী পরিচালক ও গৌরব-৭১ এ-র সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন, সমাজসেবক আলতাফ হোসেন হৃদয়, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য দিশারা ইয়াসমিন ও এম খালেকুজ্জামান।
Leave a Reply