রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ১১:৪৪ অপরাহ্ন
নাছির উদ্দিন, প্রতিবেদক: নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার চার বারের নির্বাচিত আলোচিত মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা ,প্রতিদিনের মতো করোনাকালীন লকডাউনের প্রথম প্রহরের মানুষের পাশে হাজির, পহেলা জুলাই ২০২১ইং সকাল শুরু হয় ত্রাণ বিতরণের মধ্য দিয়ে।
সকাল ৯ টায় মুছাপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমেরিকা প্রবাসী আইয়ুব আলীর পক্ষ থেকে ৩০০ লোকের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন মেয়র।
সকাল দশটায় বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে রাস্তা ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা পরিদর্শন করেন মেয়র। রাস্তা পরিদর্শনে যে যে জায়গায় গাড়ি ঢুকতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে সেগুলো চিহ্নিত করে। পরে পায়ে হেঁটে সে গুলোকে সমাধান করার চেষ্টা করেন মেয়র।
দুপুর একটার দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ভূমি অফিস সংলগ্ন মুরাদ মিরাদের বাড়ির সীমানা প্রাচীর এর কারণে গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হলে সেটার আংশিক ভেঙ্গে প্রশস্ত করার নির্দেশ দেন। মৌলভী আব্দুর রাজ্জাক জামে মসজিদের সাথে রেজু মিয়ার জমির সীমানা বিরোধ তা আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা।
৯ নং ওয়ার্ড জেলেপাড়ার বিভিন্ন বাড়ির সীমানা প্রাচীর বর্ধিতাংশ রাস্তার উপর পড়ে থাকাতে রাস্তায় গাড়ি চলাচলে বাধা সৃষ্টি হয় তা পরিদর্শন করে সেগুলো ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেন ।
জেলেপাড়া থেকে বের হতে উপজেলা কোয়ার্টারের প্রতি নজর পড়ে মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার, সেখানে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণে কাজের ত্রুটি দেখে কাজ বন্ধ করারও নির্দেশ দেয় তিনি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা গেইটের সামনে মামুন টাওয়ারের সামনে বেশ কিছু অংশ মানুষের হাঁটা-চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে দেখে তা ভেঙ্গে প্রশস্ত করারও নির্দেশ দেয় মেয়র ।
এরপর বসুরহাট পৌরসভার একমাত্র খাল যেটি দিয়ে কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাট এর পানিপ্রবাহ সে খালের যে যে অংশ পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় সেগুলো পরিষ্কার এর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন মেয়র।
লকডাউনে বাজারের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষনের জন্য রুপালি চত্বর হয়ে কালামিয়া মেনশন এবং বসুরহাট কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মোড় হয়ে বঙ্গবন্ধু চত্বর পার হতে না হতে উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে আসলে ছিন্নমূল মহিলার আত্ম চিৎকার শোনা যায়। প্রাণিসম্পদ অফিসের সামনে ছিন্নমূল মহিলা মেয়র কে উদ্দেশ্য করে বলেন বাবাগো আমাকে কিছু টাকা দেন আমি চাউল কিনব দুটো ভাত খাব আমার ঘর নাই আমার ছেলে নাই কথাগুলো বলেন সিরাজপুর ৫নং ওয়ার্ড সর্দার বাড়ির ছেমনা খাতুন (৭০)।
এসময় মেয়রের সাথে থাকা বেশ কিছু মানুষও ঐ মহিলার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন, তৎক্ষণাৎ মেয়র এগিয়ে আসে এবং মেয়র এগিয়ে এসে তার সমস্যার কথা গুলা নিজে শ্রবণ করে তার ঘর নির্মাণের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা অনুদান দেন। ঘর নির্মাণের জন্য সিরাজ পুরের বাসিন্দা শাহজাদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমকে দায়িত্ব দিয়ে মেয়র বলেন তার ঘর নির্মাণ করে দিবে এরপর যদি কোন টাকার প্রয়োজন হয় সেটা আমি সহযোগিতা করব।
উল্লেখ্য যে ,ইতিপূর্বে মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন বাড়িতে ঘর পুড়ে যাওয়াতে মানুষকে ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করেন এবং কোম্পানীগঞ্জের চরহাজারী, চরপার্বতী, মুছাপুর, রামপুর, চরকাঁকড়া বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে ঘর নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে তিনি নগদ টাকা ও ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।
Leave a Reply