সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : শ্রমিকদের ঢাকায় ফেরায় বিড়ম্বনা কমাতে বিধিনিষেধে কিছুটা ছাড় দিয়ে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এ সুযোগে রাজধানী ঢাকার সড়কেও ঘুরছে আজ বাসের চাকা।
বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশাও চলতে যাচ্ছে আজ ঢাকার সড়কে। তবে বাস-অটোরিকশা দুটির সংখ্যাই খুবই সীমিত। যেহেতু স্বল্প সময়ের জন্য বাস চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তাই অনেক বাস মালিকই এই স্বল্প সময়ের জন্য বাস সড়কে নামাননি।
উত্তর বাড্ডা এলাকায় কথা হয় তুরাগ পরিবহনের বাসের চালকের সহযোগী এরশাদ আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, যাত্রীর খুব একটা চাপ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দুই সিটে একজন করে যাত্রী তুলছি।
নূরে মক্কা পরিবহনের বাসে মিরপুর যাচ্ছিলেন সিদ্দিকুর রহমান নামে এক যাত্রী। তিনি বলেন, নাটোর থেকে সকালে বাড্ডা আড়ৎতের সামনে নেমেছি পিকআপ থেকে। ঢাকায় এসে মনে করেছিলাম বাস চলবে না, কিন্তু দেখছি চলছে। তাই এই বাসে মিরপুরে যাচ্ছি। কিন্তু ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে মহাখালী এলাকা থেকে বনশ্রী যাওয়ার জন্য আলিফ পরিবহনের বাসে উঠেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী সাব্বির আহমেদ। তিনি বলেন, আজ বের হয়ে দেখছি বাস চলছে। যাত্রীর চাপ নেই। তবে ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে।
গতকাল শনিবার সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে বলা হয়, রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক ও সংশ্লিষ্টদের কাজে যোগদানের সুবিধার্থে ১ আগস্ট দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে মানুষের চলাচল নিয়ন্ত্রণে সরকার ৫ আগস্ট পর্যন্ত নানা ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছে। সে মোতাবেক ওই সময় পর্যন্ত সব কারখানাগুলো বন্ধ থাকার কথা ছিল। তবে ঈদের পর থেকেই কারখানা খোলার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন শিল্প-কারখানার মালিকরা। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার গার্মেন্টসসহ রফতানিমুখী শিল্প-কারখানা স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সরকারের ওই সিদ্ধান্তের পরই দেশের প্রতিটা অঞ্চল থেকে দলে দলে ঢাকাতে ফিরতে শুরু করেন শ্রমিকরা। তবে গণপরিবহন না থাকায় তাদের পড়তে হয় বিড়ম্বনা। পরে সে পরিস্থিতি এড়াতে রোববার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়।
Leave a Reply