সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ০১:১৪ পূর্বাহ্ন
প্রেম মানে না কোনো জাত-পাত, বাধা-বিপত্তি। মানে না কোনো শাসন-বারণ। নোয়াখালীর নুরুল ইসলামের মেয়ে বিলকিস আক্তার ভালোবাসার টানে টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়নের ময়থা গ্রামের আজহার আলীর মেয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ুয়া আখির কাছে ছুটে এসেছেন।
ফেসবুক-টিকটকে পরিচয়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে বলে জানান দু’জনেই। এদিকে এলাকাবাসীর বিষয়টি ভিন্ন চোখে দেখলেও শিক্ষাবিদরা বলছেন, এটা তেমন কোনো সমস্যা না, সব সময় যে বিপরীত লিঙ্গের দিকেই আকর্ষণ থাকবে তাও না এটা একটি সাময়িক আকর্ষণ।
জানা যায়, ফেসবুক ও টিকটকে পরিচয় হয় তাদের। তারপর থেকেই দীর্ঘদিন যাবত কথা হয় হোয়াটসঅ্যাপে। জড়িয়ে পরেন ভালোবাসার গভীর সম্পর্কে। তিন মাস আগে দু’জনে একসাথে ঘরও ছেড়েছিলেন একে অপরকে ভালোবেসে। পরবর্তীতে পরিবারের চাপে বাড়িতে ফিরে আসতে বাধ্য হয় তারা। কিন্তু সেই চাপ তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি।
এদিকে এলাকাবাসী বলছেন দুই মেয়ের এই প্রেম কাহিনী কখনও দেখিনি। আজ প্রথম দেখলাম বিষয়টি আসলেই অবাক করার মতো।
বিলকিস বলেন, ‘আমি পরিবারকে বুঝিয়েছি তারা আমাদের সম্পর্ক মানবে না। তাই বাড়িতে থেকে নিরুপায় হয়ে পালিয়ে এসেছি। এখন আখির পরিবার না মানলে আমরা দু’জনে অন্য কোথাও গিয়ে বসবাস করবো।’ দুই কিশোরীর দাবি- তারা কেউ কাউকে ছাড়া থাকবে না। তারা গার্মেন্টসে চাকরি করে একত্রে সারাজীবন কাটাবে বলে জানিয়েছে। এক্ষেত্রে তারা একে অপরকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে বেছে নিয়েছেন।
আখি বলেন, ‘বিলকিসের সাথে ফেসবুকে পরিচয় তারপর থেকে আমরা দু’জনে সম্পর্কে জড়িয়ে যাই। এখন বিলকিস এসেছে আমি ওরে আর যেতে দিব না।’এদিকে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের উৎসুক বিভিন্ন বয়সী মানুষজন তাদের এক নজর দেখতে ওই বাড়িতে ভিড় করেন।
বাসাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা পারভীন বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে নোয়াখালীতে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। মেয়েটির প্রকৃত অভিভাবকের খুঁজে পেলে তাদের হাতে মেয়েটিকে ফিরিয়ে দেবো। আর তার পরিবার খুঁজে না পেলে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।
Leave a Reply