বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৪:৫৬ অপরাহ্ন
নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে চাঙ্গা করতে মাঠে নেমেছে জেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির নেতারা। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। চলতি বছরের ২৩ জুলাইয়ের আগেই নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের কথা রয়েছে।
সম্মেলনের আওয়াজে পৌরসভা আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান জানান দিতে মাঠে নেমেছেন। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থকরাও নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর জাহিদুর রহমান শামীমের পক্ষে ব্যাপক প্রচারণা চালাচ্ছেন তাঁর কর্মী-সমর্থকরা।একজন ক্লিনইমেজের ব্যক্তি হিসেবে দলের তৃণমুলের কর্মীদের কাছে আলোচনায় রয়েছেন শামীম।
জাহিদুর রহমান শামীম নোয়াখালী পৌরসভার ০৬ নম্বর ওয়ার্ডের উজ্জলপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর মরহুম পিতা লুৎফর রহমান বি.কম ছিলেন একজন আয়কর আইনজীবি। স্বাধীনতা পরবর্তী তিনি দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় নোয়াখালী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। দলের র্দূদিনে দায়িত্বে থেকে জেলা শহরে দলকে সুসংগঠিত করেছেন লুৎফর রহমান বি.কম।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, বাবার অনুপ্রেরণায় জাহিদুর রহমান শামীম ৮০’র দশক থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে ছাত্র জীবনেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। শামীম ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকাকালীন দলের বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। ৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেও শহরে সংগঠিত বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে যুক্ত হন তিনি।
শিক্ষা জীবনে স্নাতক শেষ করে পারিবারিক ব্যবসায়ের পাশাপাশি যুবলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হয়ে দলের দুঃসময়ে শহরের প্রত্যেকটি পাড়া-মহল্লায় সাংগঠনিক কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন।
২০০৪ সালে রাজনৈতিক মাঠ যখন উত্তপ্ত, তখন জাহিদুর রহমান শামীম দৈনিক সচিত্র নোয়াখালী পত্রিকার মাধ্যমে সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত হয়ে দল এবং স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তির পক্ষে লেখালেখি করেন। পরবর্তীতে ২০০৯ সালে তিনি একুশে টেলিভিশনের নোয়াখালী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন।
শামীম রাজনীতি এবং সাংবাদিকতা পেশায় থেকে প্রতিনিয়তই সমাজের নানা সমস্যা, দুর্নীতি-অনিয়মের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করে গেছেন। এ জন্য তাঁকে বহুবার প্রতিকূলতার মুখোমুখি হতে হয়েছে। তার পরও তিনি থেমে যাননি। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কাজ করে গেছেন। তাদের প্রতি বাড়িয়ে দিয়েছেন সহযোগিতার হাত।
এতে তাঁর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা তৈরী হওয়ায় ২০১৬ সালে নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে শামীমকে ০৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর প্রার্থী করান স্থানীয়রা। ওই নির্বাচনে শামীম জয়লাভ করেন। এতে সমাজ এবং সমাজের মানুষের প্রতি তাঁর দায়িত্ববোধ আরো বেড়ে যায়। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ছুটে চলেন মানুষের ঘরে ঘরে। সরকারি সুযোগ-সুবিধার পাশাপাশি ব্যক্তিগত অর্থায়নে করেছেন মানুষের সেবা। তাই চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি নোয়াখালী পৌরসভা নির্বাচনে জাহিদুর রহমান শামীম বিপুল ভোটে আবারো কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা তৃণমূল থেকে বেড়ে ওঠা দলের র্দুদিনের কান্ডারি জাহিদুর রহমান শামীমকে নোয়াখালী পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পদায়ন করলে এই পৌরসভায় আওয়ামী লীগের রাজনীতি আরো গতিশীল হবে।
আওয়ামী লীগ নেতা জাহিদুর রহমান শামীম বলেন, আমি বাবার অনুপ্রেরণায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে নিয়ে ছাত্রলীগ-যুবলীগের রাজনীতি করেছি। দলের সকল আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি। দলের ক্লান্তিলগ্নে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে মিছিল-মিটিং করেছি। কখনো পদপদবী চাইনি। এখন দলের তৃণমূলের কর্মীদের প্রত্যাশার মুখে আমি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। আশা করছি আমার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে তৃণমূলের কর্মীদের প্রত্যশার মূল্যায়ন করবেন নেতারা।
Leave a Reply