বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন

বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে করোনা মোকাবিলায় আমরা পঞ্চম সফল দেশ: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার:

মহামারি করোনার মতো বন্যাও একসঙ্গে মোকাবিলা করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।

তিনি বলেন, দেশের মধ্যে এবারের ভয়াবহ বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সুনামগঞ্জ ও সিলেটের মানুষ। বন্যার শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি মনিটরিং করেছেন বলেই একটি মানুষও না খেয়ে ও বিনা চিকিৎসায় মারা যায়নি। সেনাবাহিনীসহ সরকারের সব বিভাগ তার তত্ত্বাবধানে একযোগে কাজ করায় শতবছরের মধ্যে ভয়াবহ এ বন্যা আমরা ভালোভাবে সামাল দিতে পেরেছি।

সোমবার (২৭ জুন) দুপুর দেড়টায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের সম্মেলনকক্ষে সিলেট বিভাগের বন্যা পরিস্থিতি, ত্রাণ ও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নিয়ে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

সভায় বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, বিভিন্ন হাসপাতাল ও সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালগুলোর প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।

জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা সবাই টিম ওয়ার্কের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে কাজ করতে পেরেছিলাম বলে কোভিডকে ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পেরেছি। বিশ্বের ২০০টি দেশের মধ্যে করোনা মোকাবিলায় আমরা পঞ্চম সফল দেশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম। তেমনি আমরা সবাই একইভাবে ভয়াবহ বন্যাও মোকাবিলা করতে পারবো। কেউ বিনা চিকিৎসায় ও না খেয়ে মরবে না।

তিনি আরো বলেন, যারা করোনার টিকা নেওয়ার যোগ্য আছেন এমন ৯৮ ভাগ মানুষকে আমরা টিকা দিয়েছি। বিশ্বের অনেক দেশ আছে করোনার ১০ ভাগ টিকাও এখনো তাদের নাগরিকদের দিতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রীর গাইডলাইনের কারণে আমরা সফল হয়েছি।

বন্যায় শুধু স্বাস্থ্য বিভাগ ১০ লাখ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেছে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা চিকিৎসার পাশাপাশি বন্যাদুর্গত মানুষদের আশ্রয়ও দিয়েছি। বন্যার শুরু থেকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমিসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিটি কর্মী রাতদিন কাজ করেছে। সিলেটে ১৫০ থেকে ২০০টি মেডিকেল টিম কাজ করেছে। এখনো চিকিৎসা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

‘বন্যা পরবর্তী সময়ে সাধারণ তো ডায়রিয়া ও কলেরার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। তবে আশার বিষয় হলো এখনো এমন কোনো খবর আমরা পাইনি। আমরা বন্যা পরবর্তী যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছি। আমাদের স্বাস্থ্যের সচিব ও ডিজিসহ সবাই এ নিয়ে একযোগে মাঠে কাজ করছেন। সারাদেশে ৪ হাজার মেডিকেল টিম মাঠে কাজ করছে।’ যোগ করেন তিনি।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে কোনোদিন পানি ওঠেনি। কিন্তু এবার দেখলাম হাসপাতালে তিন ফুটের মতো পানি উঠেছে। ভবিষ্যতে আরও বড় বন্যা হলেও যাতে হাসপাতালে পানি না ঢুকে, এ ব্যাপারে কাজ শুরু করতে আমাদের একটি বিশেষজ্ঞ কারিগরি দলকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা এটি খতিয়ে দেখছেন।

মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খান, সিলেট-৩ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এনায়েত হোসেন, সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোর্শেদ আহমদ চৌধুরী, বাংলাদেশ বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. এমএ মুবিন খান ও সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published.

পুরাতন খবর

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০  
© All rights reserved © 2017 nktelevision
Design & Developed BY Shera Web