সালাহ উদ্দিন সুমন:

নোয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন ২৯ নভেম্বর ২০২২। এবারের সম্মেলনে সদর উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান একে এম সামছুদ্দিন জেহান কে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃণমূল নেতা কর্মীরা। তিনি জনপ্রিযতায় এগিয়ে আছেন।

সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একে এম সামছুদ্দিন জেহান যিনি সফলতার সাথে চেয়ারম্যান হিসেবে তাঁর দায়িত্ব পালন করে আসছে। তার পিতা মরহুম আবদুল মালেক (কমিশনার) ছিলেন একজন সক্রিয় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং রাজনীতিবিদ।

তিনি সাবেক পশ্চিম পাকিস্তানি বিমান বাহিনীতে অফিসার পদে কর্মরত ছিলেন । তিনি জেলা আওয়ামীলীগরে সহ-সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদীন দায়িত্ব পালন করেছেন এবং নোয়াখালী শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন।

এছাড়াও তিনি একাধিক সামাজিক,রাজনৈতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। পিতার যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে সামছুদ্দিন জেহানের রাজনীতিতে পদার্পন । ১৯৮১ ও ৯০ দশকে তিনি জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ছিলেন । ২০০৪ সালে জেলা আওয়ামীলীগের উপ-প্রচার সম্পাদক, ২০১৪ সালে জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন-সাধারণ সম্পাদক এবং বর্তমান জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।

উপজেলার তৃণমূল নেতা কর্মীরা জানে তাদের পরিবারের সকল সদস্যরা আওয়ামীলীগ পরিবার। সামছুদ্দিন জেহান একজন সৎ, সাহসী, মেধাবী, শিক্ষিত, পরিশ্রমী, ত্যাগী আওমীলীগের নেতা। তিনি মানুষকে সরাসরি উপকার করতে ভালবাসেন।

স্বৈরাচার বিরোধী, চারদলীয় জোট সরকার বিরোধী, ওয়ান ইলিভেনের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনের সময় রাজপথে দলীয় নেতা কর্মীদের কে নিয়ে রাজপথে ছিলেন অতন্দ্র প্রহরির মতো।, জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের তান্ডবের নির্যাতিত শিকার হয়েছেন সামছুদ্দিন জেহান ।

সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ড নেতা কর্মীরা জানান, তাদের প্রিয় মানুষ টির জন্য তারা সব সময় দোয়া করেন এবং বিশ্বাস করেন তাঁর হাত ধরেই উপজেলা আওয়ামীলীগ সু-সংগঠিত হবে।
একে এম সামছুদ্দিন জেহান বলেন, প্রায় ৪০ বছরেরও বেশি দীর্ঘায়িত রাজনৈতিক জীবন। একটা দিন একটা মুহুর্তও দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে যাইনি। নোয়াখালী পৌরসভার থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলাম। দলীয় মনোনয়ন দুই দুই বার না পেয়েও নৌকার পক্ষে ভোট করেছি। নৌকা মার্কাকে জয়লাভ করিয়েছি। নিজের জীবন বাজি রেখে জামায়াত-বিএনপি ও শিবিরের তান্ডবের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছি। আওয়ামী লীগের দুঃস্বময়ে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ভূমিকা রেখেছি। এখনও দলকে সু-সংগঠিত করতে দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছি।