বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:০১ পূর্বাহ্ন
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীতে জায়গা জমি দখলের চেষ্টায় হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী এক নারী । শুক্রবার সকালে নোয়াখালী সদর উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ লক্ষ্মীপুর গ্রামের নিশি পন্ডিত বাড়ীতে এ ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী শিবানী রানী পাল (৫০) বাদী হয়ে নোয়াখালী সুধারাম মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর (৬০), গোপাল চন্দ্র পাল, ববিতা রানী পাল, মোঃ নান্টু, তানবীর হোসেন, মোঃ হৃদয়ের নেতৃত্বে বসত ঘর ও গোয়াল ঘরে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এতে বাধা দিলে অভিযুক্ত বিবাদীরা শিবানী রানী পাল, রাখাল চন্দ্র পাল, কণিকা রানী পাল, প্রার্থনা রানী পাল, ভূষণ চন্দ্র পাল ও আকাশ চন্দ্র পালের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুতর আহত হলে শিবানী রানী পালকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
মামলার অভিযোগ সূত্রে আরো জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে বাদীর সাথে বিবাদীদের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। শুক্রবার সকালে বিবাদীরা জোর পূর্বক জায়গা দখলের চেষ্টা চালায় । এতে বাদী পক্ষ বাঁধা দিলে বিবাদীরা এলোপাতাড়ী মারধর করে বসতঘরে থাকা আসবাবপত্র ও টাকা পয়সা নিয়ে যায়। বিবাদীরা জায়গা দখল করে সেখানে নতুন ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে । এসময় ভুক্তভোগীরা ৯৯৯ কল করলে সোনাপুর ফাঁড়ি থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ভুক্তভোগী শিবানী রানী পাল বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা এখানে বসবাস করে আসছি । আমাদের প্রতি শত্রুতাপূর্বক শুক্রবার সকালে গোপাল চন্দ্র পাল গং আমাদের জায়গা দখল করার চেষ্টা করে আসছে। আমি বাঁধা দিলে আমার ছেলে মেয়ে, নাতি-নাতনির উপর হামলা চালায়। আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে আমার গায়ে থাকা স্বর্ণের চেইন, কানের দুল জোরপূর্বক চিনিয়ে নিয়ে যায়। এছাড়া আমার বসতঘর ভাংচুর করে ছিন্নবিন্ন করে রাস্তায় ফেলে দেয়। আমি প্রশাসনের নিকট এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ বিষয়ে ৫নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মোঃ জাহাঙ্গীর বলেন, গ্রাম্য শালিসে গোপাল চন্দ্র পাল জায়গা পাওনা হলে তার জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আমি চেয়ারম্যানের নির্দেশে ঘটনাস্থলে গ্রাম্য পুলিশ নিয়ে গিয়ে তাদের গোয়াল ঘর ভেঙ্গে দিয়ে বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছি।
বিনোদপুর ইউপি চেয়ারম্যান তোফাজ্জল হোসেন বলেন, বাদী বিবাদী উভয়ের মামলা আমার পরিষদে অনেকদিন ছিলো। তিনজন সার্ভেয়ার আমিন দিয়ে পরিমাপ করে দেয়ার পর গোপাল চন্দ্র পাল জায়গা পাওনা হলেও শিবানী রানী পাল জায়গা বুঝিয়ে না দিয়ে সেখানে বাউন্ডারি দেয়াল তুলে ফেলে। আজকে সকালে এলাকাবাসী ও স্থানীয় মেম্বারসহ তাদের গোয়াল ঘর ভেঙ্গে জায়গা বুঝিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। এতে কোনো অপ্রতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে এজন্য আমি সেখানে গ্রাম্য পুলিশ প্রেরণ করি।
অভিযোগের বিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল হক রনি বলেন, আমি এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি । তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply